Header Ads

লটারিতে ডিসি-এসপি বদলি অবাস্তব ও হাস্যকর ধারণা

             

লটারিতে ডিসি-এসপি বদলি অবাস্তব ও হাস্যকর ধারণা




জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ বলেছেন, লটারির মাধ্যমে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি) বদল করে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব—এমন ধারণা হাস্যকর ও বাস্তবতাবিবর্জিত।

সম্প্রতি ভয়েস বাংলা ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনপূর্ব সময়ে লটারির মাধ্যমে ডিসি ও এসপি বদল চান। আমার প্রশ্ন—এভাবে বদল করলেই কি নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে?’

তিনি বলেন, ‘লটারির মাধ্যমে একজন ডিসি বা এসপিকে কুমিল্লা থেকে যশোরে বদলি করলেই কি তিনি পক্ষপাতমুক্ত হয়ে যাবেন? ব্যক্তি তো একই থাকেন। মূল সমস্যা হচ্ছে—এই কর্মকর্তাদের ওপর জনগণের আস্থা নেই।’

মোস্তফা ফিরোজ বলেন, ‘গত ১৫ বছরে প্রশাসন ও পুলিশ যেভাবে পরিচালিত হয়েছে, তাতে তাদের মধ্যে নিজস্ব নৈতিক দৃঢ়তা বা “মেরুদণ্ড” নেই। একজন কর্মকর্তা ধাপে ধাপে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার থেকে এসপি বা ডিআইজি পদে পৌঁছেছেন—আপনি কতজনকে বদলি করবেন? লোম বাঁচাতে গিয়ে কম্বলই ফেলে দেওয়া হচ্ছে।’

নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু বদলি নয়, নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অংশ করা উচিত। পাশাপাশি, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদেরও ব্যাপকভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’

তিনি প্রস্তাব করেন, ‘যদি ৫০টি আসনভিত্তিক ভাগ করে ভোট গ্রহণ করা হয়, তাহলে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের একটি সমন্বিত দল আরও কার্যকরভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে।’

মোস্তফা ফিরোজ আরও বলেন, ‘প্রশাসন ও পুলিশে কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া কেবল বদলির মাধ্যমে নিরপেক্ষতা আনা যাবে না। যে দল ক্ষমতায় থাকে, প্রশাসন সাধারণত তাদের পক্ষেই কাজ করে। আজ যদি এনসিপি (নতুন রাজনৈতিক শক্তি) ক্ষমতাবান হয়ে ওঠে, প্রশাসন তখন আর বিএনপি-জামায়াতকে চিনবে না, এনসিপিকে চিনবে।’

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এই সরকার আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চায় না। তারা মনে করেন, সব কিছু তারাই জানেন। কিন্তু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যদি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের (স্টেকহোল্ডারদের) বাদ দিয়ে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে তা টেকসই এবং গ্রহণযোগ্য হয় না।’

No comments

Powered by Blogger.