গুম হওয়া পারভেজের কিশোরী মেয়ের আকুতিতে কেঁদে ফেললেন তারেক রহমান
বাবাকে জড়িয়ে ধরতে চাওয়া এক কিশোরীর আবেগঘন আহ্বানে কান্না ধরে রাখতে পারেননি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ ও গুম হওয়া পরিবারদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় এমন হৃদয়বিদারক মুহূর্তের সৃষ্টি হয়।
‘জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তারেক রহমান। সভায় অংশ নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে কান্নাভেজা কণ্ঠে কথা বলেন ২০১৩ সালে গুম হওয়া বংশাল থানা ছাত্রদল নেতা পারভেজ হোসেনের কিশোরী মেয়ে আদিবা ইসলাম হৃদি।
তিনি বলেন, “অনেক বছর হয়ে গেছে, আমি আমার বাবাকে দেখিনি। আমার ছোট ভাইটিও বাবাকে চেনে না। এখন আমাদের একটাই প্রশ্ন—আমরা কি আর কোনোদিন বাবাকে জড়িয়ে ধরতে পারব না?”
হৃদির এই প্রশ্নে সভা কক্ষ নিস্তব্ধ হয়ে যায়। অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। বক্তৃতার পুরো সময় স্ক্রিনে দেখা যায় তারেক রহমান চশমার ফাঁক দিয়ে চোখ মুছছেন। হৃদি ও তার ভাইয়ের মতো হাজারো সন্তানের কষ্টের ভাগীদার হয়ে পড়েন তিনিও।
সভায় হৃদি ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার পরিবারগুলোর সদস্যরা তাদের অভিজ্ঞতা শোনান। তারা জানান, স্বজন হারানোর বেদনার পাশাপাশি তাদের তাড়িয়ে বেড়ায় আর্থিক সংকট ও সন্তানদের ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামে ‘জুলাই আন্দোলন’-এ শহীদ ওয়াসিম আকরামের বাবা। তিনি শুধু নিজের সন্তানের কথা বলেননি, তুলে ধরেন অন্য শহীদ পরিবারের সদস্যদের যন্ত্রণার কথাও। তারা রাষ্ট্রের কাছে দাবি জানান—নৃশংস এসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক।
No comments