Header Ads

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমতা পঞ্চমবারের মতো বাড়ানো হলো

                        

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমতা পঞ্চমবারের মতো বাড়ানো হলো


                                      

সরকার সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরও এক দফা বাড়িয়েছে। পঞ্চম দফায় এই ক্ষমতা ৬০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে।

রোববার (১৪ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ১৪ জুলাই থেকে পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত এই ক্ষমতা বহাল থাকবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে থেকেই দেশে চলমান ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর কারফিউ উঠলেও মাঠে সেনা সদস্যদের অবস্থান বজায় থাকে। এরপর যৌথবাহিনীও অভিযানে নামে।

এই প্রেক্ষাপটে ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রথমবারের মতো দুই মাসের জন্য বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। পরে পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নৌ ও বিমানবাহিনীসহ কমিশনড কর্মকর্তারাও একই ক্ষমতা পান। এরপর নভেম্বর, জানুয়ারি, মার্চ ও জুন—এই চার দফায় ৬০ দিন করে মেয়াদ বাড়ানো হয়।

সেনা সদস্যরা শুরু থেকেই নিয়মিত টহল ও যৌথ অভিযান পরিচালনা করছেন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সেখানে দ্রুত উপস্থিত হচ্ছে যৌথবাহিনী। এছাড়া দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশিও চালানো হচ্ছে।

সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন বা তার ওপরে সমপদমর্যাদার কমিশনড কর্মকর্তা (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে তারা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অর্থাৎ জেলা প্রশাসকের অধীনে কাজ করবেন।

ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারার আওতায় তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

এই ধারাগুলোর আওতায় বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা গ্রেপ্তার ও গ্রেপ্তারের আদেশ দেওয়া, গ্রেপ্তারি ও তল্লাশি পরোয়ানা জারি, মুচলেকা আদায়, বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ, জননিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, জনস্বার্থে স্থাবর সম্পত্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বাধা অপসারণসহ বিভিন্ন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।

No comments

Powered by Blogger.