Header Ads

এসএসসিতে ৩২০ জন অংশ নিল, সবাই পেল জিপিএ-৫

              
               

এসএসসিতে ৩২০ জন অংশ নিল, সবাই পেল জিপিএ-৫



নরসিংদীর নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস এবারের এসএসসি পরীক্ষায়ও তাদের ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটি থেকে এবার ৩২০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং সবাই জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিবছরই তারা ভালো ফল করে আসছে। এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩১৭ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর আগেও একাধিকবার শতভাগ পাস এবং শতভাগ জিপিএ-৫ অর্জনের মাধ্যমে দেশসেরা ফলাফল করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।

ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তারা নেচে-গেয়ে মিষ্টি বিতরণ করে উৎসব করে। একপর্যায়ে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা সেখানে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেন এবং তাদের অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য দেন। পরে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনায় দোয়া পরিচালনা করা হয়।

জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী শেয়শ্রী সরকার বলেন, ‘শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আন্তরিকতার জন্যই আমি এই ফলাফল করতে পেরেছি। মা–বাবার মুখে হাসি ফোটাতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে।’

অন্য কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি শিক্ষকেরা বাড়িতে গিয়েও তদারকি করেছেন। ছিল বিশেষ ক্লাস ও গাইড টিচারের মাধ্যমে আলাদা নজরদারি। দুর্বল শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হতো। এসব ব্যবস্থাই সাফল্যের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।

প্রধান শিক্ষক মো. ইমন হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমন্বয়েই আমরা এমন সাফল্য পাচ্ছি। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল কাদির মোল্লার দিকনির্দেশনায় এবং শিক্ষকদের কঠোর পরিশ্রমে আমরা নিয়মিতভাবে দেশসেরা ফলাফল অর্জন করছি।’

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল কাদির মোল্লা বলেন, ‘সারাদেশের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, আমরা দেশসেরা ফল করেছি। এই ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও ধরে রাখার চেষ্টা করব।’

মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৮ সালে নরসিংদী শহরের ভেলানগর এলাকায় আবদুল কাদির মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী নাছিমা বেগম মিলে প্রতিষ্ঠা করেন নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস। বর্তমানে প্রায় ৫,৫০০ শিক্ষার্থী ও ১৬৪ জন শিক্ষক নিয়ে কঠোর নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে বিদ্যালয়টি।

No comments

Powered by Blogger.