বিএনপির প্রস্তাব : প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর

    

      

একজন ব্যক্তি যেন সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালন করতে পারেন—এমন সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার পক্ষে মত দিয়েছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

জানা গেছে, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলটির নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিগত কয়েকদিনের আলোচনা ও সংলাপ নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

গত রোববার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ সীমাবদ্ধতা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। কেউ সংসদের দুই পূর্ণ মেয়াদে সীমাবদ্ধ রাখার পক্ষে মত দেন, আবার কেউ মত দেন—এক ব্যক্তি জীবনে সর্বোচ্চ দুবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, মেয়াদ যাই হোক না কেন।

আলোচনার একপর্যায়ে বিএনপির নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদের সময়সীমা ‘মেয়াদ’ দিয়ে না দেখে বরং একজন ব্যক্তি জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ কয় বছর ওই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, তা বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

এরই ধারাবাহিকতায়, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়—একজন ব্যক্তি যেন সর্বোচ্চ ১০ বছর (অর্থাৎ দুই পূর্ণ মেয়াদ) প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, তা সংবিধানে সুনির্দিষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে বিএনপি।

এছাড়া বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়—বিএনপি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহে নিয়োগের জন্য প্রস্তাবিত ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি)’ গঠনের পক্ষে নয়। দলটির মত হলো, এটি বর্তমান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

এ ছাড়া জানা গেছে, নারীদের জন্য ১০০টি সংরক্ষিত আসন এবং সংসদের প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষে ১০০ সদস্য রাখার বিষয়ে দলটি ইতোমধ্যে একমত হয়েছে। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রেও ‘জ্যেষ্ঠতম দুইজনের মধ্যে একজনকে’ নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাবকে দলটি সমর্থন করেছে।