বিএনপির আশীর্বাদের চিঠি এখন অভিশাপে পরিণত হয়েছে
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, বিএনপির পক্ষ থেকে তার নির্বাচনী এলাকা পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে সাংগঠনিক সহায়তার জন্য দেওয়া চিঠি এখন তার জন্য অভিশাপে পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা পরিষদের ডাকবাংলো চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
নুর জানান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে তাকে সাংগঠনিক সহায়তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই চিঠিকে কেন্দ্র করে এখন তার দলের নেতাকর্মীরা হামলা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
তিনি বলেন, “বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা গলাচিপা ও দশমিনার বিভিন্ন ইউনিয়নে আমাদের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে, কর্মীদের মারধর করেছে, দোকান ও বাড়ি-ঘরেও হামলা চালিয়েছে। এই সহিংসতার মূল কারণ সেই ‘আশীর্বাদের চিঠি’। এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, সারাদেশে কী ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। এসব সামাল দিতে না পারলে বিএনপির জন্য তা অশনিসংকেত হয়ে উঠবে।”
নুর আরও বলেন, “হাসান মামুনের অনুসারীরা দাবি করছে, বিএনপির অফিসে নাকি হামলা হয়েছে। আমি বলছি, বিএনপি এত বড় দল— কে তাদের অফিস ভাঙচুর করার সাহস রাখে? কিন্তু আজ দলের ভেতরে কিছু বিতর্কিত ব্যক্তি এমন পরিস্থিতি তৈরি করছে যে, সাধারণ নেতাকর্মীরাই হয়ে পড়ছে উচ্ছৃঙ্খল। আমরা হামলার শিকার হয়েছি, নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন, মোটরসাইকেল ভাঙচুর হয়েছে। অথচ মামলা দেওয়া হচ্ছে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেই। বিষয়টি আমরা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের জানিয়েছি, তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।”
সংবাদ সম্মেলনে নুর জানান, গলাচিপা ও দশমিনায় হামলার প্রতিবাদে তাদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু মিছিলে হামলার আশঙ্কায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। তিনি বলেন, “এটি প্রশাসনের ব্যর্থতা। যদি তারা এখনই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারে, তাহলে ভবিষ্যতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনাও সম্ভব হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এখনই শক্তভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
No comments