নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সমঝোতা ইতিবাচক
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জানিয়েছে, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সমঝোতাকে তারা ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। তবে সংবিধান সংস্কার প্রশ্নে যদি কোনো সমঝোতা না হয়, তাহলে তা শহীদদের রক্তের সঙ্গে প্রতারণার শামিল হবে।
শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে দলটির মিডিয়া ও প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মন্তব্য করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে একটি বহুল আলোচিত সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মনে হয়েছে, এটাই ছিল প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরের প্রধান উদ্দেশ্য। ফলে এই সংলাপ ঘিরে দেশে এক ধরনের জাতীয় প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল।
তবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ভাষ্য অনুযায়ী, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রশ্ন এখন সংবিধান সংস্কার। এ বিষয়ে বিএনপি ও অন্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে। ফলে ৯০-এর দশকের তিন জোটের রূপরেখার মতো যদি আবার কোনো তামাশা বা ব্যর্থতা হয়, তা জাতি আর মেনে নিতে পারবে না।
তারা আরও জানায়, ইউনূস-তারেক সংলাপে জাতি আশা করেছিল সংবিধান সংস্কার ইস্যুতে একটি কার্যকর সমঝোতা হবে। কিন্তু যৌথ বিবৃতিতে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা না থাকায় জাতির মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে।
সংগঠনটি মনে করে, শুধুমাত্র নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আলোচনা যথেষ্ট নয়। রাষ্ট্র সংস্কার এবং বিশেষ করে সংবিধান সংস্কারের পদ্ধতি নিয়ে যদি সুনির্দিষ্ট সমঝোতা না হয়, তাহলে তা ১৯৭১ ও সাম্প্রতিক গণআন্দোলনে শহীদদের রক্তের প্রতি চরম অসম্মান হবে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের মতে, ৫৪ বছরের অভিজ্ঞতায় এটা স্পষ্ট—সংবিধান সংস্কারের বিষয়টি উপেক্ষা করলে জাতি আবার ফ্যাসিবাদের দুষ্টচক্রে ফিরে যাবে। গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মত্যাগ তখন নিষ্ফল হয়ে যাবে, যা হবে জাতির জন্য গভীর হতাশার কারণ।
No comments