ডিসেম্বরে নির্বাচন না হলে জবাব দিন

 

জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক স্মরণসভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেছেন, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিনটি বিষয় বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে জরুরি। তারা বলেন, এই তিনটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে জড়িত। তাই ডিসেম্বরে যদি নির্বাচন না হয়, তবে জনগণের সামনে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।

রোববার (১ জুন) দুপুরে গণসংহতি আন্দোলনের প্রয়াত নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত এ সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, মানুষ এখন ন্যায়ের বিচার ও সুশাসনের বাস্তব অগ্রগতি দেখতে চায়। তিনি জানান, নির্বাচন চাওয়াকে অপরাধ হিসেবে দেখার কিছু নেই। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ না দিলে সংস্কার প্রক্রিয়াও পিছিয়ে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। এজন্য সরকারের উচিত পক্ষপাত ছাড়াই সব দলের সঙ্গে বসা।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম বলেন, সংবিধান সংস্কার ছাড়া দীর্ঘস্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। জনগণের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে।

ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, সংবিধানের মালিক জনগণ। তাই জনগণের ইচ্ছাই চূড়ান্ত। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যেন সবাইকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়।

সভায় আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের ফয়জুল হাকিম লালা, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, গণসংহতির আবুল হাসান রুবেলসহ আরও অনেকে।

তারা সবাই একমত হন—দেশ যেন সংঘাতের দিকে না যায় এবং একটি অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনই এই মুহূর্তে সবচেয়ে প্রয়োজন।