বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কত আসন প্রার্থী চূড়ান্ত করছে?

 

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, একটি সুষ্ঠু  অবাধ ও ভয়মুক্ত নির্বাচন না হলে রাষ্ট্র ব্যর্থতার দিকে ধাবিত হবে। তিনি রোববার (১ জুন) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ওই বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ‘রিকশা’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাংগঠনিক প্রস্তুতি, মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম এবং জনপ্রিয়তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ২১ জুনের মধ্যে দেশের ৩০০টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এ বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একাধিক আগ্রহী প্রার্থী থাকলে জনপ্রিয়তা, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং মাঠপর্যায়ে সক্রিয়তার ভিত্তিতেই প্রার্থী বাছাই করা হবে।

বৈঠকে মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ আরও বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। সেই নির্বাচন যেন কোনোভাবেই কারচুপি, পেশিশক্তি কিংবা কালোটাকার প্রভাবে কলুষিত না হয়। তিনি বলেন, জনগণ ২০১৪, ২০১৮ কিংবা ২০২৪ সালের মতো প্রহসনের নির্বাচন আর দেখতে চায় না। একই সঙ্গে ১/১১-র মতো অস্বাভাবিক পরিস্থিতিও কারো কাম্য নয়।

তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি আবারও একটি অস্বচ্ছ ও প্রহসনের নির্বাচন হয়, তবে তা রাষ্ট্রকে ব্যর্থতার দিকে ঠেলে দেবে। এ ছাড়া তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, সেনাবাহিনীসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একটি নিরপেক্ষ, অবাধ ও নিরাপদ নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করতে যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শরাফত হোসাইন, তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক মূসা, আবুল হাসনাত জালালী, মুহাম্মাদ ফয়সাল, আবু সাঈদ নোমান, নেয়ামতুল্লাহ, বায়তুলমাল সম্পাদক ফজলুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হারুনুর রশীদ ভূইয়া এবং অফিস সম্পাদক রুহুল আমীন খানসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।