দুনিয়ার সবচেয়ে ক্ষুধার্ত জায়গা
গাজা উপত্যকা বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুধার্ত ও খাদ্যসংকটে ভোগা অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা ওসিএচএ (UNOCHA) ৩০ মে, শুক্রবার জানায় যে গাজার জনগণ বর্তমানে মারাত্মক অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছে। যদি দ্রুত মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে না দেওয়া হয়, তাহলে এই সংকট ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে রূপ নিতে পারে।
ওসিএচএ-র মুখপাত্র জেন্স লারকে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েল এখনও গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বড় ধরনের বাধা দিচ্ছে।” তিনি জানান, সম্প্রতি অনুমোদিত ৯০০টি ত্রাণবাহী ট্রাকের মধ্যে মাত্র ৬০০টি গাজায় প্রবেশ করেছে। আর এসব ট্রাকে প্রধানত শুধু ময়দা রয়েছে, যা রান্না না করলে খাওয়ার উপযোগী নয়। অথচ এই মুহূর্তে গাজার প্রায় পুরো জনগোষ্ঠী দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত দুই সপ্তাহে গাজায় নতুন করে প্রায় ২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সহায়তা পৌঁছাতে দেরি এবং নিরাপত্তাজনিত জটিলতা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
অন্যদিকে, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ (UNRWA) জানায়, তারা জর্ডানের আম্মানে গাজাবাসীর জন্য এক মাসের খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য জরুরি সহায়তা মজুত করে রেখেছে। এই সহায়তা ২ লাখ মানুষের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম। কিন্তু সীমান্ত না খুললে এসব ত্রাণ গাজার মানুষের কাছে পৌঁছানো অসম্ভব।
ইউএনআরডব্লিউএ জোর দিয়ে বলেছে, গাজার জনগণ এখন জরুরি সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছে। এই সহায়তা প্রবেশে যে কোনো ধরনের বিলম্ব বা বাধা মানবিক বিপর্যয়কে আরও ঘনীভূত করবে।
এর আগেও জাতিসংঘসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা একত্রে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে সতর্ক করেছে যে, গাজায় ইতোমধ্যেই চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে এবং সেখানে দুর্ভিক্ষ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিশেষ করে, ২ মার্চ থেকে গাজায় সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে অনাহার, অপুষ্টি এবং মানবিক বিপর্যয় মারাত্মকভাবে বেড়েছে।
No comments