Header Ads

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া বন্ধ করল

 

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া বন্ধ করল



যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সঙ্গে সব ধরনের গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ। এর ফলে ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তার ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মাইক ওয়াল্টজ বলেন, ‘আমরা এক ধাপ পিছিয়ে এসেছি।’ তিনি আরও জানান, ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনের সঙ্গে সম্পর্কের সব দিক পর্যালোচনা করছে এবং আপাতত স্থগিত রাখছে।

২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক হামলা শুরু করার পর থেকেই কিয়েভের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে সম্প্রতি দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। গত সোমবার ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দেয়, ইউক্রেনকে আর কোনো সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে না।

গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। মূলত সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি এবং ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে মার্কিন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনার জন্য হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন জেলেনস্কি। তবে বৈঠকটি সফল হয়নি, বরং বিতর্কের পর তাঁকে হোয়াইট হাউস ছেড়ে যেতে বলা হয়।

এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এটি পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে নাকি আংশিকভাবে কার্যকর থাকবে, কিংবা কতদিন পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে, তা স্পষ্ট নয়।

এদিকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে দেওয়া সামরিক সহায়তা বন্ধ রেখেছে এবং তহবিল নিয়ে পুনর্বিবেচনা করছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তিন বছর ধরে চলমান, এবং ইউক্রেন এখন পর্যন্ত অনেকাংশেই যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিল। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য বন্ধ হলে যুদ্ধক্ষেত্রে তা মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.