যমুনা রেলসেতুতে সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু
![]() |
যমুনা রেলসেতু |
যমুনা রেলসেতুতে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন, সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর, বুধবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস যাত্রীবাহী ট্রেনটি যমুনা সেতু অতিক্রম করে এই সেতুর যাত্রা শুরু করে। ট্রেনের যাত্রীরা এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে বেশ আনন্দিত।
১২ ফেব্রুয়ারি, বুধবার, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ১১টা ২০ মিনিটে যমুনা সেতুর সিরাজগঞ্জ প্রান্তে পৌঁছায় এবং ১১টা ৩০ মিনিটে টাঙ্গাইল প্রান্তে পৌঁছায়। একই সময়ে বুড়িমারী এক্সপ্রেসও টাঙ্গাইল প্রান্ত ত্যাগ করে, সকাল ১১টা ৩৮ মিনিটে।
ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশন মাস্টার শাহীন মিয়া জানান, সেতুর ওপর ট্রেনের গতি ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হলেও, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এখন ট্রেনটি ৫০ কিলোমিটার গতিতে চলছে। অনুমতি পেলে, ভবিষ্যতে গতি আরো বাড়ানো হবে।
এর আগে, যমুনা সেতু দিয়ে কয়েক দফা পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল করেছে। বর্তমানে যমুনা বহুমুখী সেতুর মিটারগেজ রেললাইনটি সর্বোচ্চ ৪৩.৭০ কিলো-নিউটন/মিটার ওজন বহন করতে সক্ষম।
এই প্রকল্পটি প্রথমে জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল, তবে সংশোধনে এর সময়সীমা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর একনেক প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়। প্রথমে এই সেতুর নাম ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু, কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বরে সরকারের নাম পরিবর্তন করে যমুনা রেলসেতু রাখা হয়।
যমুনা রেলসেতু সিরাজগঞ্জ জেলার সঙ্গে টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর উপজেলাকে যুক্ত করেছে এবং এটি বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে অবস্থিত, বাংলাদেশের বৃহত্তম রেলওয়ে সেতু হিসেবে পরিচিত।
No comments