Header Ads

গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলায় ১২ দলীয় জোটের তীব্র নিন্দা

                         

গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলায় ১২ দলীয় জোটের তীব্র নিন্দা




গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট। বুধবার (১৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে জোট এই প্রতিবাদ জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের ন্যাক্কারজনক ও বর্বর হামলার ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতারও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

জোট নেতারা বলেন, জুলাই-আগস্ট ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরেই একদিন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটবে। সেই ভয়ে এখন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ সরকারঘনিষ্ঠ সন্ত্রাসীরা আবারও দেশে অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশ সদস্যদের আহত করার মতো যেসব বর্বরোচিত ঘটনা ঘটেছে, তা এই অপচেষ্টারই অংশ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগ নিয়ে একটি গোষ্ঠী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এবং দেশকে বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দিতে চায়। তাই এসব সন্ত্রাসী অপতৎপরতাকে কঠোর হস্তে দমন করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মানুষের ভোটাধিকার রক্ষা এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখতে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অন্যথায় দেশ আবারও সংকটে নিপতিত হবে।

তাঁরা আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর ঐক্যকে আরও সুসংহত ও দৃঢ় করতে হবে। নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি পরিহার করে সবাইকে সতর্কভাবে অগ্রসর হতে হবে, নইলে ধ্বংস অনিবার্য।

১২ দলীয় জোটের নেতারা গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি আহত পুলিশ সদস্যদের আশু সুস্থতা কামনা করেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সক্রিয় ও দেশপ্রেমিক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন:

  • মোস্তফা জামাল হায়দার – ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান

  • শাহাদাত হোসেন সেলিম – জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান

  • সৈয়দ এহসানুল হুদা – জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান

  • ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম – জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব

  • রাশেদ প্রধান – জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি

  • লায়ন ফারুক রহমান – ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান

  • শামসুদ্দিন পারভেজ – বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান

  • মাওলানা আব্দুল রকিব – ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান

  • আবুল কাশেম – ইসলামিক পার্টির মহাসচিব

  • ফিরোজ মুহাম্মদ লিটন – প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী পার্টি (পিএনপি) চেয়ারম্যান

  • এম এ মান্নান – নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি

No comments

Powered by Blogger.