চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: আয়কর রিটার্নে বাড়তি ছাড়
নতুন অর্থবছরের শুরুতেই বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এসেছে ভালো খবর। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে আয়কর রিটার্ন জমার নিয়মে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো বেসরকারি চাকরিজীবীদের করযোগ্য আয় গণনায় ছাড়ের সীমা বৃদ্ধি করা।
আগে যেখানে বেতন-ভাতা মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করছাড় পাওয়া যেত, এবার তা বাড়িয়ে হয়েছে ৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকার ওপর আর কর দিতে হবে না, যা সরাসরি করের বোঝা কমাবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানায়, করদাতারা ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত তাদের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এবারের বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত থাকছে, যা বছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এই বছর মোট ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে, যেখানে বেসরকারি চাকরিজীবীদের করছাড় বাড়ানো সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে সাধারণ মধ্যবিত্তদের ওপর।
মূল পরিবর্তনসমূহ:
-
করছাড়ের সীমা: ৪.৫ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা
-
করমুক্ত আয়সীমা: আগের মতোই ৩.৫ লাখ টাকা
-
রিটার্ন জমার সময়সীমা: ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর ২০২৫
-
করহিসাব নতুন নিয়মে করতে হবে
এই পরিবর্তনের ফলে বেসরকারি খাতের মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীদের জন্য কর হিসাব করা সহজ ও স্বস্তিদায়ক হবে। এতে রিটার্ন জমানোর প্রবণতাও বাড়বে বলে মনে করছেন এনবিআর।
অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশে মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে করছাড়ের এই সামান্য বৃদ্ধি অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্ব বহন করে। অধিকাংশ চাকরিজীবী সীমিত আয় ও ব্যয়ের মধ্যেই থাকেন, তাই ৫০ হাজার টাকার বাড়তি ছাড় তাদের জন্য বাস্তব অর্থে আর্থিক স্বস্তি এনে দেবে।
এনবিআর চেয়ারম্যানের কথা:
“রিটার্ন জমানো এখন শুধু বাধ্যবাধকতা নয়, এটি এক ধরনের নাগরিক দায়িত্ব। নিয়ম যত সহজ হবে, উৎসাহ তত বাড়বে।”
রোজ নিয়মিত করদাতারা এবং যারা প্রথমবার রিটার্ন জমাতে যাচ্ছেন, তাদের উচিত এই বাজেটের পরিবর্তনগুলো মাথায় রেখে কর হিসাব করা। বাড়তি এই ছাড় আপনার আয়কর রিটার্নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, সেটি নিশ্চিত করা বুদ্ধিমানের কাজ।
No comments