Header Ads

৮ দিন পর পর্তুগালে যাওয়ার ফ্লাইট, কিন্তু আমি এখন ফেঁসে গেছি

                      

     

৮ দিন পর পর্তুগালে যাওয়ার ফ্লাইট, কিন্তু আমি এখন ফেঁসে গেছি




পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. সোহাগ ওরফে লাল চাঁদকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে এবং কংক্রিটের টুকরো দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন তারেক রহমান রবিন ও টিটন গাজী। তবে তারা দুজনই আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

শনিবার (১২ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম হাসিব উল্লাহ গিয়াসের আদালতে তারা জবানবন্দি দেন।

অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার রবিন আদালতে বলেন, তিনি এ ঘটনায় জড়িত নন এবং “ফেঁসে গেছেন।” অন্যদিকে, টিটন গাজী জানান, তিনি কাউকে মারধর করেননি বা কাউকে মারার নির্দেশও দেননি।

রিমান্ড শেষে রবিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হলে, কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন জীবন তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত থেকে বেরিয়ে রবিন সাংবাদিকদের বলেন, “আমি হত্যাকাণ্ডে জড়িত না। অথচ সবাই মনে করছে আমি দোষী। আট দিন পর আমার পর্তুগালের ফ্লাইট ছিল। বিদেশ যাওয়ার জন্য ২২ লাখ টাকা খরচ করেছি।” তিনি আরও বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না, শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমার জীবন শেষ হয়ে গেছে। আমার মা অসুস্থ, তার ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে।”

রবিনের কাছ থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

রিমান্ড শুনানিতে টিটন গাজী আদালতকে বলেন, “আমি শুধু দাঁড়িয়ে ছিলাম। একজনের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। আমি কাউকে মারিনি বা মারার নির্দেশ দিইনি।” বিচারক জানতে চান, তার কোনো আইনজীবী আছে কি না। টিটন জানান, তার কোনো আইনজীবী নেই।

তিনি বলেন, “যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, মনোযোগ দিয়ে দেখলে বোঝা যাবে আমি কিছু করিনি। ভিডিওতে আমি পেস্ট রঙের গেঞ্জি পরা ছিলাম। আমার কোনো ভূমিকা ছিল না।”

পরে বিচারক তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পুলিশের হেফাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৯ জুলাই বিকেলে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে কংক্রিটের টুকরো দিয়ে মাথা ও শরীর থেঁতলে হত্যা করা হয়। হত্যার পর কয়েকজন তার নিথর দেহের ওপর লাফিয়ে ওঠে। নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের পাঁচজনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

এ ঘটনায় সোহাগের বড় বোন কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পাশাপাশি, পুলিশ অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করে।

ঘটনার পর পুলিশ ও র‍্যাবের অভিযানে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ড শেষে রবিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.