আওয়ামী লীগের দমনপীড়ন ছিল ইয়াজিদের মত পৈশাচিক

            

 বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া নিষ্ঠুর আওয়ামী নেতাদের পৈশাচিক দমনপীড়ন ইয়াজিদ বাহিনীর মতোই ছিল। গত ১৬ বছরে পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার নির্বাচনের ভাঁওতাবাজি, মানুষের ভোটাধিকার হরণ, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, সন্ত্রাস, হানাহানি এবং দেশের টাকা বিদেশে পাচারসহ এক অবর্ণনীয় শোষণ ও অত্যাচারের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি রাখা হয়েছিল এবং সুচিকিৎসা বঞ্চিত করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে গতকাল শনিবার এক বাণীতে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, আজও ইমাম হোসাইন (রা.) ও তার ঘনিষ্ঠজনদের আত্মত্যাগের চেতনায় দেশে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। কোনোভাবেই যেন নির্মম অত্যাচারীর উত্থান ঘটে, সেজন্য ইমাম বাহিনীর যুদ্ধ আমাদের সবসময় প্রতিরোধের প্রেরণা জোগাবে। আমি শহীদ হজরত ইমাম হোসাইন (রা.), তার শহীদ পরিবার ও সঙ্গীদের স্মরণে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি এবং তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।

বাণীতে আশুরার তাৎপর্য তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য ১০ মহররম একটি বিশেষ স্মরণীয় ও ঘটনাবহুল দিন। বিশ্ব ইতিহাসে এ দিনে অসংখ্য ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, তাই এই দিনের মর্যাদা অসীম। এটি একটি বিয়োগান্তক ও বিষাদময় স্মৃতির দিন, যা পবিত্র আশুরা হিসেবে পালিত হয়। অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই করার পথে মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) কারবালার প্রান্তরে এই দিনে শাহাদাতবরণ করেছিলেন। এই দিন শোক, শ্রদ্ধা ও আত্মত্যাগের প্রতীক। জাগতিক অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ইমাম হোসাইনের আত্মত্যাগ মুসলমান ও বিশ্ববাসীর জন্য এক মহিমান্বিত ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। ইমাম হোসাইনের কষ্ট ও শাহাদাত এবং ইসলাম রক্ষার জন্য তার আত্মত্যাগ বিশ্বে বিশাল প্রেরণার উৎস।

তারেক রহমান আরও বলেন, হজরত হোসাইন (রা.)-এর শাহাদাত ছিল অন্যায়, অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এক নজিরবিহীন আদর্শিক সংগ্রামের উদাহরণ। ক্ষমতার প্রতি অন্ধ মোহে যারা ন্যায় ও মানবতাকে বঞ্চিত করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে ইমাম বাহিনী জীবনের উৎসর্গ করে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল। কারবালার শাহাদাত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিপীড়িত মানুষের মধ্যে অত্যাচার থেকে মুক্তির আশায় এক শক্তিশালী প্রতীক হিসেবে কাজ করে আসছে।