মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে দায়ী করার অপচেষ্টা চলছে

 
                    

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকার কাওলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজনে একটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আমিনুল হক বলেন, “কিছু ইসলামী দল, নতুন রাজনৈতিক দল এবং এক শ্রেণির ষড়যন্ত্রকারী বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।”

তিনি মিটফোর্ডে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডকে বিএনপি কখনোই সমর্থন করে না। যদি আমাদের দলের কেউ জড়িত থাকে, তাকেও আইনের আওতায় আনতে হবে। বিএনপি সন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা কিংবা অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দেয় না।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারবার বলেছেন—সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখল, লুটপাটসহ যেকোনো অপরাধের বিরুদ্ধে বিএনপির অবস্থান জিরো টলারেন্স। এখানে কোনো ছাড় নেই।”

নতুন ও ইসলামী দলগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “জনগণের সঙ্গে আপনাদের কোনো সম্পর্ক নেই। জনগণের আস্থা না পেয়ে আপনারা ষড়যন্ত্র করে দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছেন।”

ভোটাধিকার প্রসঙ্গে আমিনুল হক বলেন, “গত ১৫ বছরে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ৫ আগস্টের আন্দোলনের পর মানুষ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশায় ছিল। তারেক রহমান ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর যখন জানা গেল ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে পারে, তখন মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল। কিন্তু এখন আবারও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।”

দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”

ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিএনপি শুধু রাজনৈতিক দল নয়, সামাজিক দায়িত্বেও বিশ্বাসী। আজকের ক্যাম্প তার প্রমাণ। মহানগর উত্তরের প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডে সপ্তাহে অন্তত একদিন এমন ক্যাম্প চালানোর জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছি।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম কফিলউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়িত হলে দেশের গরিব-দুঃখী মানুষ উপকৃত হবে।” তিনি সবাইকে ৩১ দফা বাস্তবায়নে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এবিএমএ রাজ্জাক, আকতার হোসেন, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, মহিলা দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট রুনা লায়লা, সদস্য মোতালেব হোসেন রতন প্রমুখ।