সরকারি পেনশনারদের জন্য সেরা সঞ্চয়পত্র সুযোগ
বর্তমানে দেশে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র চালু রয়েছে। এর মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিশেষভাবে চালু করা হয়েছে ‘পেনশনার সঞ্চয়পত্র’, যা মুনাফার দিক থেকে সবচেয়ে লাভজনক।
চালুর সময়
২০০৪ সালে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর এই সঞ্চয়পত্র চালু করে।
মেয়াদ
প্রতিটি পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ ৫ বছর।
বিনিয়োগের পরিমাণ
পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন নিম্নলিখিত নির্ধারিত মূল্যে:
-
৫০,০০০ টাকা
-
১,০০,০০০ টাকা
-
২,০০,০০০ টাকা
-
৫,০০,০০০ টাকা
-
১০,০০,০০০ টাকা
মুনাফার হার (কার্যকর: ১ জুলাই ২০২৫ থেকে)
-
৭.৫ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে: বার্ষিক মুনাফা ১১.৯৮%
-
৭.৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে: বার্ষিক মুনাফা ১১.৮০%
(পূর্বে এই হার ছিল যথাক্রমে ১২.৫৫% ও ১২.৩৭%)
মেয়াদপূর্তির আগেই নগদায়ন করলে মুনাফার হার কমে যাবে এবং অতিরিক্ত পরিশোধিত মুনাফা মূল টাকা থেকে সমন্বয় করা হবে।
উৎসে কর (TDS)
-
৫ লাখ টাকার মধ্যে বিনিয়োগে: উৎসে কর নেই
-
৫ লাখ টাকার বেশি হলে: মুনাফার উপর ১০% উৎসে কর প্রযোজ্য
যাঁরা কিনতে পারবেন
-
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী
-
সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি
-
সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য
-
মৃত সরকারি চাকরিজীবীর স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান (যাঁরা পেনশন সুবিধাভোগী)
কোথায় পাওয়া যায়
-
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর
-
বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শাখা
-
বাণিজ্যিক ব্যাংক
-
ডাকঘর
এ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেই এটি নগদায়ন করাও সম্ভব।
অন্যান্য সুবিধা
-
প্রতি মাসে মুনাফা পরিশোধ করা হয়
-
নমিনি নিয়োগ করা যায়
-
সঞ্চয়পত্রধারীর মৃত্যুর পর নমিনি সহজে নগদায়ন করতে পারেন
সারসংক্ষেপ
অবসর জীবনে নিরাপদ ও লাভজনক আয় নিশ্চিত করতে পেনশনার সঞ্চয়পত্র হতে পারে একটি কার্যকর ও নির্ভরযোগ্য উপায়। বিনিয়োগের আগে নিকটস্থ ব্যাংক বা ডাকঘর থেকে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া উচিত।
No comments