Header Ads

হত্যার পরিকল্পনায় মুজিববাদী সন্ত্রাসীদের হামলা: নাহিদ ইসলাম

       
                 

হত্যার পরিকল্পনায় মুজিববাদী সন্ত্রাসীদের হামলা: নাহিদ ইসলাম



জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেছেন, গোপালগঞ্জে দলের নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে ‘জঙ্গি কায়দায়’ হামলা চালিয়েছে মুজিববাদী সন্ত্রাসীরা।

বুধবার (১৬ জুলাই) রাত পৌনে ১০টার দিকে খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “গত ১ জুলাই থেকে আমরা দেশজুড়ে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছি। তারই অংশ হিসেবে ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে পদযাত্রার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে সাধারণ মানুষের কথা শোনার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে আওয়ামী লীগ আজ আমাদের ওপর জঙ্গি কায়দায় হামলা চালিয়েছে। এতে তাদের ফ্যাসিস্ট রূপ প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ এখন একটি জঙ্গি সংগঠনে রূপ নিয়েছে, আর গোপালগঞ্জ হয়ে উঠেছে ফ্যাসিস্টদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র।”

তিনি জানান, এই ঘটনার পর দলের মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের পদযাত্রা কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে আগামীকাল থেকে ফরিদপুর ও রাজবাড়ি হয়ে পদযাত্রা আবার শুরু হবে। “যত বাধাই আসুক, আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব,” বলেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “আওয়ামী লীগের জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে আজ সারাদেশে বিভিন্ন ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছে। এনসিপির পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে এনসিপি।”

তিনি দাবি করেন, পদযাত্রার প্রতিটি জায়গায় স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনুমতি নিয়েই তারা কর্মসূচি পালন করেছেন। গোপালগঞ্জেও প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে আগে থেকেই কথা বলা হয়েছিল এবং তাদের নির্দেশনা অনুযায়ীই তারা নির্ধারিত রুটে গিয়েছেন। “কিন্তু তাদের (প্রশাসন ও পুলিশের) তৎপরতা ছিল অপ্রতুল। আমাদের আগমনের আগেও সেখানে একবার হামলা হয়েছে। আগেভাগে কার্যকর পদক্ষেপ নিলে এই হামলা প্রতিরোধ করা যেত বলে আমরা মনে করি।”

তিনি বলেন, “একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশের যেকোনো জায়গায় সভা-সমাবেশ করার অধিকার আমাদের আছে। গোপালগঞ্জ বাংলাদেশের বাইরে নয়। সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্ব আমাদের নিরাপদভাবে সমাবেশের পরিবেশ নিশ্চিত করা। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি সরকারের ভেতর থেকে কোনো ষড়যন্ত্র বা নাশকতা (স্যাবোটাজ) হয়েছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত।”

আওয়ামী লীগকে ‘জঙ্গি সংগঠনের মতো আচরণ’ করার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “শুধু গোপালগঞ্জ নয়, তারা দেশের যেকোনো স্থানে এ ধরনের আচরণ করতে পারে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে।”

নাহিদ ইসলাম জানান, “হামলায় এনসিপির তিনজন নেতা গুরুতর আহত হয়েছেন এবং ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। মুজিববাদের বিরুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিক লড়াই চলেছে, চলবে।”

এর আগে গোপালগঞ্জে সমাবেশ ঘিরে সহিংসতা, হামলা-পাল্টা হামলার পর সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় সন্ধ্যায় খুলনায় পৌঁছান এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা বর্তমানে খুলনা সার্কিট হাউসে অবস্থান করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা এবং সারোয়ার তুষার।

No comments

Powered by Blogger.