এবার বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হলেন ড. ফয়জুল হক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মালয়েশিয়া শাখার সহ-সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ড. ফয়জুল হককে দলবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (১২ জুলাই) মালয়েশিয়া বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম রতনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৯ জুন দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং সিনিয়র নেতাদের প্রতি অশালীন ও অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহারের অভিযোগে সংগঠনের নীতিমালার ভিত্তিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ড. ফয়জুল হক এখন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মালয়েশিয়া শাখার কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকতে পারবেন না।
অন্যদিকে, একই দিনে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্টে ড. ফয়জুল হক নিজেই বিএনপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার পর দলীয় আদর্শগত মতপার্থক্যের কারণে তিনি দল ত্যাগ করছেন। পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠী-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন।
ড. ফয়জুল আরও জানান, ২০১৫ সাল থেকে তিনি বিএনপির সঙ্গে যুক্ত থেকে দেশ-বিদেশে ইসলামপন্থী ও সমাজভিত্তিক রাজনীতির পক্ষে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঝালকাঠী-১ ও ঝালকাঠী-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নের প্রত্যাশী ছিলেন।
তবে সম্প্রতি দলের রাজনৈতিক অবস্থানে যে পরিবর্তন এসেছে, বিশেষ করে ৫ আগস্টের ঘটনাকে ঘিরে বামঘেঁষা অবস্থানে ঝুঁকে পড়ার প্রবণতা তাকে হতাশ করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে ড. ফয়জুল বলেন, "ইসলামপন্থিদের বিরুদ্ধে দলের কিছু বক্তব্য আওয়ামী লীগের বক্তব্যের সঙ্গে বিস্ময়করভাবে মিলে যাচ্ছে। একজন ডানপন্থি রাজনীতিক হিসেবে এতে আমি নিজেকে কোণঠাসা অনুভব করছি।"
তিনি আরও বলেন, "আমি পাথর ছুঁড়ে মানুষ হত্যা, সন্ত্রাস কিংবা চাঁদাবাজির কোনো কর্মকাণ্ড সমর্থন করি না। আমি একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধসম্পন্ন রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। দলীয় স্বার্থ নয়, বরং দেশের জনগণের অধিকারই আমার রাজনীতির মূল ভিত্তি।"
শেষে তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন, “তাদের অবদান আমি আজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করব।
No comments