বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ইসরায়েল
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, ইরানের সঙ্গে চলমান সংঘাতে তার দেশ বিজয়ের পথে রয়েছে। সোমবার (১৬ জুন) দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা আমাদের দুটি মূল লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি—সেগুলো হলো পারমাণবিক হুমকি এবং ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি নির্মূল করা।”
নেতানিয়াহু আরও বলেন, “ইসরায়েলি বিমানবাহিনী বর্তমানে তেহরানের আকাশ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। আমরা আরও বড় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, তিনি এসব কথা বলেন যখন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এবং সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামিরের সঙ্গে মধ্য ইসরায়েলের টেল নফ বিমানঘাঁটি পরিদর্শন করছিলেন।
বক্তব্যে নেতানিয়াহু ইরানি জনগণকে তেহরান ত্যাগ করার পরামর্শও দেন। তিনি বলেন, “আমরা সামনে আরও গুরুতর অভিযানে যাচ্ছি। ইরানিদের এখনই নিরাপদ জায়গায় চলে যাওয়া উচিত।”
উল্লেখ্য, ইরান ও ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের উত্তেজনা সরাসরি সামরিক সংঘাতে রূপ নিয়েছে। দু’দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে সরাসরি হামলা চালিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে এবং পারমাণবিক আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে।
এই সংঘাতের সূত্রপাত হয় গত শুক্রবার (১৩ জুন), যখন ইসরায়েল আকস্মিকভাবে বিমান হামলা চালিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, বিশেষ করে নাতানজ ও ইসফাহানের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে আঘাত হানে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা একে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংসের অভিযানের শুরু বলে উল্লেখ করেছেন। এই হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি এবং চিফ অব স্টাফ জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি।
এই হামলার পাল্টা জবাবে, শনিবার (১৪ জুন) রাতে ইরান ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এরপর থেকে উভয় দেশের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার পরিস্থিতি চলমান রয়েছে। এতে করে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়ে গেছে।
No comments