Header Ads

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

    

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত শতাধিক




ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল সাতপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করেছে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নে বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. আবদুল আওয়াল এবং একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফা কামালের অনুসারীদের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। মোস্তাফা কামাল বর্তমানে হজ পালনে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।

আজ দুপুরে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোস্তাফা কামালের সমর্থকরা ককটেল ও লোহার রড নিয়ে আবদুল আওয়ালের অনুসারী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল হান্নানের বাড়ি ও দোকানপাটে হামলা চালায়। খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র, লাঠি, দা, ছুরি, টেঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ বিকেল পর্যন্ত কয়েক দফায় চলতে থাকে এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।

সংঘর্ষে অন্তত ১০০ জন আহত হন। গুরুতর আহত কামাল মিয়া (২৪), জসিম উদ্দিন (৪০), কিবরিয়া (৫০) ও টেঁটাবিদ্ধ সুমন মিয়াকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, সেখান থেকে তাঁদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যান্য আহত ব্যক্তিরাও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, “আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে, তবে এখনও কোনো পক্ষ মামলা করেনি।”

নাসিরনগরে জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, আহত ২০

সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুলিকুন্ডা গ্রামে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও (ওসি) রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, কুলিকুন্ডা গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কাউসার মিয়া প্রতিবেশী বিএনপি-সমর্থক মোহাম্মদ এরশাদ মিয়ার জমির ওপর ঘর নির্মাণ করছিলেন। বিষয়টি নিয়ে এরশাদ মিয়া আদালতে মামলা করেন। এর আগে একাধিক সালিসি বৈঠক হলেও বিরোধের নিষ্পত্তি হয়নি।

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাউসার মিয়া শতাধিক লোক নিয়ে এরশাদের বাড়িতে হামলা চালান বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে নাসিরনগর থানার ওসি মো. খায়রুল আলম পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গেলে তিনিও সংঘর্ষে আহত হন।

নাসিরনগর থানার ওসি খায়রুল আলম বলেন, “জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আমি এবং আরও অনেকে আহত হয়েছি।”

উভয় এলাকাতেই বর্তমানে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।

No comments

Powered by Blogger.