ভারতে আটক বাংলাদেশের এক পুলিশ কর্মকর্তা ও দুই আওয়ামী লীগ নেতা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ভাটপাড়া এলাকায় বাংলাদেশ পুলিশের একজন এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে আটক করেছিল পুলিশ।
গত ৩ জুন (মঙ্গলবার) উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া পৌরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসুদেবপুর মোড়ের একটি বাড়ি থেকে তাদের আটক করে জগদ্দল থানা পুলিশ। তারা বিগত পাঁচ মাস ধরে তিতাস মণ্ডল নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম জুয়েল, আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুর রহমান এবং বাংলাদেশ পুলিশের পলাতক এসপি হাসান আরাফাত আবিদ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই তিন বাংলাদেশি নাগরিকের চলাফেরা এবং অবস্থানকে ঘিরে এলাকায় সন্দেহের পরিবেশ তৈরি হয়। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে বিষয়টি জানালে জগদ্দল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে যায়।
তিতাস মণ্ডলের বাড়িতে পেইং গেস্ট হিসেবে থাকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনিরুদ্ধ বিশ্বাস জানান, আটক ব্যক্তিরা তিতাস মণ্ডলের পূর্বপরিচিত। তারা বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়ে ভারতে এসেছেন। অনিরুদ্ধের দাবি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রাণনাশের আশঙ্কায় তারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ভারতে আসার পর তারা চিকিৎসাসেবাও গ্রহণ করেছেন।
স্থানীয়দের দাবি, এটি প্রথম ঘটনা নয়। এর আগেও ওই বাড়িতে বাংলাদেশি নাগরিকদের অবস্থানের নজির রয়েছে। কয়েকদিন আগে এমনই এক পরিস্থিতিতে স্থানীয় কাউন্সিলর ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরুণ ব্রহ্ম ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন খবর নিতে।
কলকাতা পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদে আটক তিনজন নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন আশরাফুর রহমান, খায়রুল ইসলাম জুয়েল এবং হাসান আরাফাত আবিদ নামে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তাদের সবার কাছে বৈধ পাসপোর্ট ও ভারতীয় ভিসা রয়েছে। এ কারণে যাচাই-বাছাই শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
No comments