বিএনপি কেন্দ্রীয় শীর্ষ দুই নেতাকে সতর্ক করল

  

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও শামসুজ্জামান দুদুকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

৫ জুন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এ চিঠি দুটি পাঠানো হয়েছে বলে দলীয় একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে বরকত উল্লাহ বুলু ও শামসুজ্জামান দুদুর কিছু বক্তব্য দলের ভিতরে ও বাইরে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এসব বক্তব্যের ফলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাই ভবিষ্যতে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপি।

অন্যদিকে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দলটি।

৫ জুন সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, একটি দুষ্টচক্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জিয়া পরিবারকে নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।

তিনি বলেন, “আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, কিছু দুর্বৃত্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডা. জুবাইদা রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্য প্রচার করছে। এছাড়া এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের ছবি ও ভিডিও তৈরি করে তা ছড়ানো হচ্ছে।”

রিজভী আরও বলেন, “এসব অপতৎপরতা একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ। এই চক্রান্তের উদ্দেশ্য জিয়া পরিবারকে ঘিরে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা। যারা এসব জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত, তারা একটি গভীর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।”

তিনি এ ধরনের অপকর্মের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু নিন্দনীয়ই নয়, এটি একটি গুরুতর অপরাধ। আমরা এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”

রুহুল কবির রিজভী আরও স্পষ্ট করে বলেন, “ডা. জুবাইদা রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের কখনো কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ছিল না এবং এখনো নেই। তাই এসব ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে করা কোনো পোস্ট বা মন্তব্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আমরা দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই।”

তিনি বলেন, “প্রযুক্তির অপব্যবহার করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হলে তা গণতন্ত্রে ঠাঁই পায় না। জনগণ এসব অপপ্রচার প্রত্যাখ্যান করবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।”