Header Ads

পাঁচ বছরেই দেশ বদলে যাবে: ডা.শফিকুর রহমান

   

       

পাঁচ বছরেই দেশ বদলে যাবে: ডা.শফিকুর রহমান



বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, "আমরা একটি ভালো, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আশা করি। যদি নির্বাচনের মাধ্যমে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে ইনশাআল্লাহ, পাঁচ বছরের মধ্যেই দেশ বদলে যাবে। কেউ যেন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না চায়।"

রবিবার (৮ জুন) দুপুর ১২টায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভা মিলনায়তনে বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, “শহীদদের রক্তের সঙ্গে কেউ যেন বেইমানি না করে। শহীদদের রক্তের অমর্যাদা হয়—এমন নির্বাচন দেখতে চাই না আমরা। এজন্য একটি সুন্দর, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রয়োজন। আমরা বাইরের কোনো দেশের হস্তক্ষেপ চাই না। আবার আমরাও অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবো না। সবাইকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই।”

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, “আমরা একটি প্রতিহিংসামুক্ত সমাজ দেখতে চাই। আমি এই উপজেলার সন্তান। আমার বিরুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধের মামলা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, যদিও তখন আমার বয়সই এমন ছিল না যে, কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারি। কেবল জামায়াতের আমির হওয়ার কারণে তারা আমাকে যুদ্ধাপরাধী বানাতে চেয়েছিল। বহুবার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। কুলাউড়ার কোনো মানুষ তাদের কথায় বিশ্বাস করেনি। আমি কুলাউড়াবাসীর প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ।”

তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যারা এসব ষড়যন্ত্র করেছে, আমি জানি তারা কারা। তবুও আমি প্রতিশোধ নিতে চাই না। যদি প্রতিহিংসা আর প্রতিশোধে আমরা লিপ্ত হই, তাহলে সমাজ একটা অমানবিক রূপ পাবে। আমরা মানবিক সমাজ গড়তে চাই। তবে যারা অপরাধ করেছে, তাদের অবশ্যই ন্যায়বিচার পেতে হবে। এখানেই আমাদের দৃঢ় অবস্থান।”

জামায়াতের আমির বলেন, “দেশে দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট যদি সঠিকভাবে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তাহলে সব কিছু পাল্টে যাবে। বাংলাদেশের বিদ্যমান সম্পদই যথেষ্ট দেশকে বদলে দেওয়ার জন্য। আমাদের কুশিক্ষার জায়গায় সুশিক্ষা ফিরিয়ে আনতে হবে। অপসংস্কৃতির কারণে আজ পরিবারব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা কারিকুলাম ও পাঠ্যসূচি যদি নৈতিকতার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়, তাহলে শিক্ষা পূর্ণতা পাবে।”

তিনি আরও বলেন, “এই দেশে ভিক্ষুক থেকে শুরু করে ধনীরা পর্যন্ত সবাই ট্যাক্স দেন। সেই ট্যাক্সের টাকা দিয়ে সরকার শিক্ষা ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই দান-অনুদান ও ট্যাক্সের কারণে আমরা অনেকেই উচ্চশিক্ষা পেয়েছি। তাই জাতির কাছে আমাদের দায় রয়েছে। সরকারি প্রতিটি স্থাপনার সঙ্গে ১৮ কোটি মানুষের শ্রম ও ঘাম জড়িত। যদি শিক্ষিতদের মগজে এই উপলব্ধি প্রতিষ্ঠিত হতো, তাহলে ঘুষ নেওয়ার সময় তাদের শরীর কাঁপত। এই নৈতিক দায়বদ্ধতা শিক্ষা ব্যবস্থায় সংযুক্ত করতে পারলে, আমাদের শিক্ষিত সমাজই জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ হয়ে উঠবে।”

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগর আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মো. ইয়ামির আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মৌলভীবাজার জেলার সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, ঢাকা পল্টন থানা আমির শাহীন আহমদ খান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি আজিজ আহমদ কিবরিয়া ও কুলাউড়া পৌর আমির হাফেজ তাজুল ইসলাম।

এছাড়াও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন পেশাজীবীদের মধ্যে অ্যাডভোকেট ছালিক আহমদ চৌধুরী, আনিসুর রহমান, মনির উদ্দিন চৌধুরী, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ মাসুক উদ্দিন, মো. শফিক উদ্দিন, মোহাম্মদ শামসুল হক, অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম, এনামুল ইসলাম, রাজানুর রহিম ইফতেখার, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন এবং উপজেলা সভাপতি আতিকুর রহমান তারেক প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.