বাংলাদেশের সংস্কারে আগ্রহী কমনওয়েলথ
কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়র্কর বোচওয়ে জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কারে সহায়তা দিতে আগ্রহী সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই আগ্রহের কথা জানান।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ যদি চায়, বিশেষ করে সাংবিধানিক সংস্কারের ক্ষেত্রে, তাহলে আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। গণতন্ত্র এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পাশে থাকা আগামী পাঁচ বছরের জন্য কমনওয়েলথের অন্যতম অগ্রাধিকার।”
কমনওয়েলথ মহাসচিব আরও জানান, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সদস্য দেশগুলোকে সহায়তা করছে সংস্থাটি।
তিনি বলেন, “কমনওয়েলথ হলো ২.৭ বিলিয়ন মানুষের একটি প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৮৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমরা আগামী কয়েক বছরে তা কমপক্ষে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছি।”
জলবায়ু ইস্যুতে তিনি বলেন, “কমনওয়েলথের বহু সদস্য রাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত, অনেকেই আকারে ছোট দেশ। আমরা তাদের জলবায়ু অর্থায়নে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছি।”
অন্যদিকে, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কমনওয়েলথ মহাসচিবকে ক্রীড়া খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগানো এবং সদস্য দেশগুলোর তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “ক্রীড়া কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি একটি শক্তিশালী সামাজিক প্ল্যাটফর্মও। আমরা ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উৎসাহ দিচ্ছি। কমনওয়েলথের জন্য ক্রীড়া একটি স্মরণীয় ও ইতিবাচক পরিচয়ের মাধ্যম হতে পারে।”
জবাবে বোচওয়ে জানান, চলতি জুন মাসেই ঢাকায় একটি যুব কর্মসূচির আয়োজন করতে যাচ্ছে কমনওয়েলথ। তিনি বলেন, “কমনওয়েলথের জনসংখ্যার ১.৫ বিলিয়ন তরুণ। তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি এবং কমনওয়েলথ বৃত্তিগুলো পুনর্গঠনেরও পরিকল্পনা করছি।”
সাক্ষাতে আরও উপস্থিত ছিলেন—জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম।
No comments