সর্দি-কাশিতে কলা খাওয়া ঠিক না ভুল? জানুন সঠিক তথ্য
কলা একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। এটি শরীরের পানির ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। একটি কলা খেলে শরীর প্রায় ১০০ ক্যালরি শক্তি পায়।
অনেকেই মনে করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির খাবার। কারণ এটি শরীরে মিউকাস বা শ্লেষ্মার পরিমাণ বাড়াতে পারে। তাই সর্দি-কাশি হলে কলা খাওয়া ঠিক নয়—এমন ধারণা অনেকের মধ্যেই আছে। কিন্তু এই ধারণা কতটা যুক্তিসঙ্গত?
আসলে কলা একটি উচ্চ হিস্টামিনযুক্ত খাবার। হিস্টামিন এমন একটি উপাদান, যা বুকে শ্লেষ্মা উৎপাদনে প্রভাব ফেলে। ফলে যাদের কাশি-সর্দি বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য কলা কিছুটা সমস্যা তৈরি করতে পারে।
তবে এর মানে এই নয় যে কলা খাওয়া একেবারে এড়িয়ে চলতে হবে। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে এবং তেমন কোনো সমস্যা না থাকলে দিনে একটি কলা খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। বিকেলের দিকে কলা খাওয়াই উত্তম, বিশেষ করে শীতকালে। তবে রাতে খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো।
ভারতের এক স্বাস্থ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে (দুই সপ্তাহ বা তার বেশি) শ্লেষ্মা বা অ্যালার্জিতে ভুগছেন, তাদের উচিত উচ্চ হিস্টামিনযুক্ত খাবার যেমন কলা এড়িয়ে চলা। তবে যদি সাধারণ সর্দি-কাশি বা জ্বর হয় এবং তা কয়েক দিনের বেশি না হয়, তাহলে সপ্তাহে ৩–৪ বার একটি করে পাকা কলা খাওয়া যেতে পারে।
শীতকালে কলা খাওয়ায় কোনো বাধা নেই। বরং পরিমিতভাবে খাওয়া হলে এটি মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের শক্তি বাড়ায়।
সারাংশ:
কলা স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর এবং শক্তিদায়ক ফল। তবে যাদের শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি বা দীর্ঘমেয়াদি কাশি-সর্দির সমস্যা আছে, তাদের কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। সঠিক সময় ও পরিমাণে খেলে কলা শরীরের জন্য দারুণ উপকারী।
No comments