Header Ads

ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের বৈঠক কী বার্তা দিচ্ছে

  
   

ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের বৈঠক কী বার্তা দিচ্ছে


সাম্প্রতিক এক বৈঠকে দেখা হয়েছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের। এই বৈঠককে পাকিস্তান সরকার অভ্যন্তরীণভাবে ‘সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টা’ হিসেবে তুলে ধরলেও, বিশ্লেষকদের মতে বিষয়টি আরও জটিল। বিশেষ করে যখন যুক্তরাষ্ট্র আবারও মধ্যপ্রাচ্যে ইরানবিরোধী অবস্থানে সক্রিয় হয়ে উঠছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বুধবার (১৮ জুন) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এটি দুই ঘণ্টা ধরে চলে এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতি ছাড়াই সম্পন্ন হয়। বৈঠকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে সরকারিভাবে খুব সীমিত তথ্য দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তান বরাবরই ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করে এসেছে এবং প্রকাশ্যে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে ‘নির্মম’ বলে অভিহিত করেছে। এর বিপরীতে ট্রাম্প প্রশাসন ইরানবিরোধী অবস্থান এবং ইসরায়েলঘেঁষা নীতিতে পরিচিত। ফলে পাকিস্তান এখন এক ধরনের কূটনৈতিক দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে।

এ সময় পাকিস্তান ইরান থেকে প্রায় তিন হাজার নাগরিককে উদ্ধার করতে একটি জটিল অভিযান চালাচ্ছে। ঠিক এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠতা—বিশেষ করে বেসামরিক প্রতিনিধিত্ব ছাড়া—বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন তুলেছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে যখন এ বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, মুখপাত্র কিছুটা অস্বস্তিকর অবস্থানে পড়ে যান। সাংবাদিকরা জানতে চান, বৈঠকে কোনো বেসামরিক রাজনীতিক উপস্থিত ছিলেন কি না।

উত্তরে মুখপাত্র বলেন, “পাকিস্তান একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।” তবে বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সাংবাদিকদের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।

এই উত্তর আরও স্পষ্ট করে দেয়, বৈঠকটি মূলত সেনাবাহিনীর উদ্যোগে হয়েছে এবং বেসামরিক নেতৃত্বের অনুপস্থিতি এ বৈঠককে ঘিরে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কূটনৈতিক অগ্রগতির আড়ালে এটি পাকিস্তানের রাজনৈতিক কাঠামো নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরেছে।

No comments

Powered by Blogger.