প্রধান উপদেষ্টা: মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক সরকার
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে রোববার (০৮ জুন) দেওয়া এক বাণীতে এ কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি)-এর সব অংশীজন ও সহযোগী সংস্থাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এবারের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন: ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের ক্ষমতায়ন (এসএমই)’ বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। আমাদের মোট দেশজ উৎপাদনের একটি বৃহৎ অংশ এসএমই খাত থেকে আসে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও এ খাতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এসএমই খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, ক্রেতা ও ভোক্তার পরিবর্তনশীল চাহিদা এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতার মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে পণ্য ও সেবার সরবরাহ ব্যবস্থার সকল পর্যায়ে গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, দক্ষ কারিগরি জনবল সৃষ্টি, বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএবি এ লক্ষ্যে কাজ করে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ল্যাবরেটরি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা এবং পরিদর্শন সংস্থাসহ মোট ১৫৫টি সরকারি-বেসরকারি এবং বহুজাতিক সংস্থাকে আন্তর্জাতিক মান অনুসারে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করেছে।
তিনি বলেন, এসএমই খাতের উন্নয়নে অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। সরকার এসএমই খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, যার মধ্যে প্রশিক্ষণ, আর্থিক সহায়তা এবং বাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, এসএমই খাতের উন্নয়নে অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।
No comments