ইশরাক: ভাড়া করা সরকারের রাজনীতি আর নয়
ভাড়া করা বিদেশি সরকারের প্রভাব নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইশরাক হোসেন।
শনিবার (৭ জুন) জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ইশরাক বলেন, “আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছি, এটাই তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এর পেছনে আরও অনেক কিছুর যোগ রয়েছে। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপি মহাসমাবেশে বলেছিল, তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া সম্ভব— অতীতেও আমরা এমনটি হতে দেখেছি।”
তিনি বলেন, “আমি কিছু কঠিন কথা বলব। আমাদের দেশকে গণতন্ত্রের পথ থেকে সরানোর চেষ্টা চলছে। আমি কারও নাম বলছি না, তবে একটি বিশেষ গোষ্ঠী এ কাজে লিপ্ত। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই— আমরা ১৭ বছর ধরে খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে বুক ফুলিয়ে আন্দোলন করেছি, পরিচয় লুকিয়ে রাখিনি। আমাদের অনেক ভাই শহীদ হয়েছেন। আমরা সেই দলের কর্মী, যে দল সুসংগঠিত।”
তিনি আরও বলেন, “ছয় ঘণ্টা, বারো ঘণ্টা, কিংবা চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত দেবে, তা বাস্তবায়নের জন্য আমরা সবসময় প্রস্তুত।”
এ সময় বাম গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক জোটকে প্রতিহতের ঘোষণা নিয়ে তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা যেভাবে বাম গণতান্ত্রিক জোটকে প্রতিহতের কথা বলেছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মাহত করার মতো। আমরা এমন মন্তব্য আশা করিনি। সবাই মনে করত, তিনি একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি। এখন কেন এই অবস্থান পরিবর্তন হলো, সেটাই আমাদের ভাবাচ্ছে।”
ইশরাক হোসেন বলেন, “আমরা পোর্ট বা করিডোর হতে দেব না। এই দেশের মালিক জনগণ। আমরা এই দেশেই থাকব, বিদেশে গিয়ে সেটেল হব না। আমার কোনো বিদেশি পাসপোর্ট নেই। এখন যদি এমন হয়, ভাড়া করা কোনো সরকার আমাদের জন্য পোর্ট, করিডোর, এমনকি ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে— শুধু তাদের প্রভুদের খুশি করতে— তাহলে এটা তো ৫ আগস্টের ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেষ হয়ে গেছে।
এখন একটাই স্লোগান— সবার আগে বাংলাদেশ।
No comments