এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে
দেশের জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায় – তারা কোনো এপ্রিল ফুলের শিকার হতে নয়, বরং সত্যিকারের গণতন্ত্র ফিরে পেতে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় জানিয়েছে। তাই চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে, এমনটাই জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট।
শনিবার (৭ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, শুধু একটি দল নয়, দেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়। নির্বাচন এপ্রিল মাসে হলে তা হতে পারে “এপ্রিল ফুল”। কারণ ওই সময় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার মৌসুম, এবং আবহাওয়াও নির্বাচনের জন্য অনুকূল থাকে না। চৈত্রের খরা আর কালবৈশাখীর ঝড়– এই দুই পরিস্থিতি নির্বাচন আয়োজনের পথে বড় বাধা হতে পারে।
জোট নেতারা বলেন, এপ্রিল মাসে নির্বাচন মানে রমজানের ঠিক পরপরই নির্বাচন আয়োজন, যা বাস্তবসম্মত নয়। রমজান মাসে প্রশাসনিক ও নির্বাচনী কাজ চালানো কষ্টসাধ্য। সেজন্য রাজনৈতিক বাস্তবতা ও গণদাবিকে সম্মান জানিয়ে ডিসেম্বরেই নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানানো হয়। নির্বাচন কমিশনকেও সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া, বিবৃতিতে তারা সম্প্রতি নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিক্কেই ফোরামে ড. ইউনূসের বক্তব্যে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, এবং যারা এর বিরোধিতা করবে তাদের ‘প্রতিহত করার’ হুমকি– এসব গ্রহণযোগ্য নয়।
জোট নেতারা বলেন, এই ধরনের বক্তব্য কোনো সরকারপ্রধান দিতে পারেন না। এর মাধ্যমে তিনি নিজের নেতৃত্বের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কার হাতে থাকবে। ইউনূস আসলেই বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলছেন কিনা, সেই প্রশ্নও উত্থাপন করেন তারা।
তারা জানান, ঈদের পর ড. ইউনূসের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকবেন কিনা, সেটিও দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীও নানা সময় ইঙ্গিত দিয়েছে – জনগণের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত চাওয়াকে সম্মান জানিয়ে নির্বাচন আয়োজন করা উচিত।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন:
-
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার
-
বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম
-
বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা
-
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম
-
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান
-
লেবার পার্টি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান
-
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ
-
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব
-
ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম
-
নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান
-
প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন
১২ দলীয় জোটের নেতারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “এপ্রিল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন চাই।
No comments