Header Ads

রাজস্ব বাড়াতে ও ভর্তুকি কমাতে আইএমএফের পরামর্শ


                

রাজস্ব বাড়াতে ও ভর্তুকি কমাতে আইএমএফের পরামর্শ


 আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সরকারকে রাজস্ব আহরণ বাড়ানো এবং ভর্তুকি হ্রাসে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সংস্থাটি সম্প্রতি চালু হওয়া নতুন বিনিময় হার ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, ভবিষ্যতে এটি পুরোপুরি বাজারভিত্তিক হতে হবে।

রোববার (বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায়) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে আইএমএফের কার্যালয় থেকে আয়োজিত ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান সংস্থাটির মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপমিশনপ্রধান আইভো ক্রিজনার এবং বাংলাদেশে আইএমএফের প্রতিনিধি জয়েন্দু দে।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে হবে। পাশাপাশি বাড়াতে হবে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই), তথ্যের মান এবং শাসনব্যবস্থার দক্ষতা।

এ সময় আইএমএফ জানায়, বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান ঋণ কর্মসূচির মেয়াদ ২০২৬ সাল থেকে বাড়িয়ে ২০২৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ অতিরিক্ত ৮০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ পাবে। সংস্থাটির মতে, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে সামষ্টিক অর্থনীতিতে কিছুটা সংকট তৈরি হলেও বাংলাদেশ ঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে মোটামুটি সঠিক পথে রয়েছে।

রাজস্ব আহরণ কাঠামো শক্তিশালী করতে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক যৌথভাবে কাজ করছে বলে জানান মিশনপ্রধান। তিনি বলেন, এনবিআর পৃথককরণ এবং রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর কার্যকর পরিকল্পনার জন্য একটি সমন্বিত কৌশল নেওয়া হবে।

আইএমএফের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ২ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে হবে। চলমান প্রশাসনিক অস্থিরতা ও আন্দোলনের মধ্যে এটি অর্জন সম্ভব কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে পাপাজর্জিও বলেন, "পরিস্থিতি কঠিন, আমরা তা বুঝি। তবে এই লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাকাঙ্ক্ষী হলেও বাস্তবসম্মত। কারণ, বাংলাদেশের রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত এখনো বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে নিচের দিকে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ জরুরি।

No comments

Powered by Blogger.