বিএনপি নেতা নিহত দুর্বৃত্তের হামলায়

 

 

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলায় ইলিয়াস মিয়া (৪৮) নামে বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন। তিনি সর্বানন্দ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

শনিবার (৮ জুন) বিকেল ৪টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ।

নিহত ইলিয়াস মিয়া উপজেলার রামভদ্র খানাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও মৃত আব্দুল ব্যাপারীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (৭ জুন) রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে তিনি নিজ বাড়ির কাছে একটি মাছের খামার থেকে ফিরছিলেন। এ সময় গানডার বিল এলাকার খানাবাড়ি অংশে ওঁৎ পেতে থাকা একদল দুর্বৃত্ত লোহার রড দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

প্রথমে তাকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ইলিয়াস দাবি করেন, “সুন্দরগঞ্জের মজিবরের ছেলে যুবলীগকর্মী সুমন, ডাকুয়ার ছেলে যুবাইর এবং তালেবের ছেলে সহ মোট ৪ জন আমাকে রড দিয়ে পিটিয়েছে। অন্তত ২০০ বার মেরেছে।”

স্থানীয় বাসিন্দা আসাদ মিয়া বলেন, “ইলিয়াস ভাই একজন ত্যাগী বিএনপি নেতা ছিলেন। আমরা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি বলেন, “ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগ পেলে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে। ইতোমধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে এবং ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।”

তিনি আরও জানান, নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে রোববার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ভিডিওতে যাদের নাম উঠে এসেছে, তাদের মধ্যে একজন সুমনের বাড়ি ঘেরাও করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক সহিংসতা, পূর্ব বিরোধ, বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা—তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।