শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি? খেতে পারেন এই ৫টি সহজলভ্য খাবার
ম্যাগনেসিয়াম আমাদের শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। এটি ৩০০টিরও বেশি শারীরিক ক্রিয়ায় অংশ নেয়। যেমন—পেশির কাজ, স্নায়ুর কার্যক্রম এবং শক্তি উৎপাদনে এটি অত্যন্ত জরুরি।
কিন্তু অনেক মানুষ, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোর ১৫-২০ শতাংশ মানুষ এই খনিজের ঘাটতিতে ভোগেন। এর ফলে দেখা দিতে পারে—উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস কিংবা অস্টিওপোরোসিসের মতো জটিল সমস্যা।
ভালো খবর হলো, কিছু সাধারণ খাবার নিয়মিত খেলে সহজেই এই ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। নিচে এমন ৫টি সহজলভ্য খাবারের নাম দেওয়া হলো, যেগুলো ম্যাগনেসিয়ামের দারুণ উৎস:
১. ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চকোলেট শুধু সুস্বাদুই নয়, বরং পুষ্টিগুণেও ভরপুর।
১ আউন্স (প্রায় ২৮ গ্রাম) ডার্ক চকোলেটে থাকে প্রায় ৬৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, যা দৈনিক চাহিদার প্রায় ১৪%।
এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদয়কে সুরক্ষা দেয়।
তবে এতে ক্যালোরি ও চিনি বেশি থাকায় পরিমাণে খাওয়া জরুরি। দিনে ১-২ টুকরোই যথেষ্ট।
২. অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডো একটি পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর ফল।
একটি মাঝারি আকারের অ্যাভোকাডোতে থাকে প্রায় ৫৮ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম।
এছাড়াও এতে পটাসিয়াম, ভালো মানের ফ্যাট ও ফাইবার থাকে।
অ্যাভোকাডো খেলে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে এবং হজমেও সহায়তা করে। চাইলে কুমড়ার বীজ যোগ করে সালাদ হিসেবেও খেতে পারেন।
৩. কাঠবাদাম
কাঠবাদাম একটি শক্তির উৎস।
মাত্র ২৩টি বাদামে (১ আউন্স) পাওয়া যায় প্রায় ৮০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম।
এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন এবং ভিটামিন ই।
নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
স্ন্যাকস হিসেবে বা সকালের নাশতায় সহজেই খাওয়া যায়।
৪. পালংশাক
সবুজ পাতাওয়ালা শাকের মধ্যে পালংশাক হলো অন্যতম।
১ কাপ রান্না করা পালংশাকে পাওয়া যায় প্রায় ১৫৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, যা দৈনিক চাহিদার প্রায় ৩৭%।
এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
এই উপাদানগুলো বার্ধক্য বিলম্বিত করে এবং শরীরকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
৫. শিমের বিচি
সাশ্রয়ী, কিন্তু পুষ্টিকর—এমন একটি খাবার হলো শিমের বিচি।
১ কাপ রান্না করা শিমের বিচিতে থাকে প্রায় ১২০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম।
এটি প্রোটিন ও ফাইবারে ভরপুর, যা হজমে সাহায্য করে ও দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক।
No comments