Header Ads

বিয়ে করলেই নাগরিকত্ব মেলে যেসব দেশে

    

    

বিয়ে করলেই নাগরিকত্ব মেলে যেসব দেশে


আমরা জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক। তবে এখন অনেকেই চান, নিজ দেশের পাশাপাশি অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্বও থাকুক। বিশ্ব এখন অনেক বেশি সংযুক্ত। বিদেশে পড়তে যাওয়া, কাজের সুযোগ বা অনলাইনের মাধ্যমে বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অনেক সময় সেই সম্পর্ক বিয়েতে গড়ায়। আর এমন অনেক দেশ আছে, যেগুলোর নাগরিককে বিয়ে করলে সহজেই পাওয়া যায় নাগরিকত্ব।

কোনো কোনো দেশে প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ। আবার কোথাও কিছু নির্দিষ্ট শর্ত মানলেই নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব। চলুন, জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু দেশের কথা, যেগুলোর নাগরিককে বিয়ে করলে বৈধভাবে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়।


১. কেপ ভার্ড

পশ্চিম আফ্রিকার ছোট দ্বীপরাষ্ট্র কেপ ভার্ড প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা। এ দেশে কারও সঙ্গে বৈধভাবে বিয়ে করলে নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন করতে পারেন সঙ্গে সঙ্গেই।

  • বসবাসের শর্ত নেই।

  • প্রক্রিয়াটি দ্রুত ও সহজ।


২. স্পেন

দক্ষিণ ইউরোপের অন্যতম বড় দেশ স্পেন।

  • স্প্যানিশ নাগরিককে বিয়ে করে একসঙ্গে মাত্র এক বছর থাকলেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।

  • নাগরিকত্ব পেলে আপনি লাতিন আমেরিকা, ফিলিপাইন, পর্তুগালসহ আরও কয়েকটি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব সুবিধা পাবেন।

  • প্রয়োজন:

    • বৈধ বিয়ের সনদ

    • একসঙ্গে বসবাসের প্রমাণ

    • স্প্যানিশ ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান


৩. আর্জেন্টিনা

আর্জেন্টিনায় কারও সঙ্গে বিয়ে করলে, মাত্র দুই বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।

  • এ সময় দেশটিতে থাকতে হবে।

  • অপরাধ না করার প্রমাণ ও স্প্যানিশ ভাষার মৌলিক জ্ঞান থাকা দরকার।


৪. মেক্সিকো

মেক্সিকোর নাগরিককে বিয়ে করলে সঙ্গীর সঙ্গে দুই বছর একসঙ্গে বসবাস করলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়।

  • শর্তগুলো হলো:

    • বৈধ বিয়ের কাগজ

    • একসঙ্গে থাকার প্রমাণ

    • স্প্যানিশ ভাষায় মৌলিক দক্ষতা

  • মেক্সিকোর নাগরিকত্ব পেলে আপনি আগের দেশের পাসপোর্টও রাখতে পারবেন।


৫. তুরস্ক

তুরস্কে বিয়ে করলে নাগরিকত্ব পাওয়া তুলনামূলক সহজ।

  • বিয়ের পর তিন বছর একসঙ্গে বৈধভাবে থাকলেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।

  • ভাষা বা সংস্কৃতির কোনো পরীক্ষা দিতে হয় না।

  • তুরস্কের পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বের ১১০টিরও বেশি দেশে ভিসা ফ্রি বা ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধা পাওয়া যায়।


৬. সুইজারল্যান্ড

সাধারণত কঠোর অভিবাসন নীতির দেশ হলেও, বৈধ বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব।

  • সুইস নাগরিককে বিয়ে করে তিন বছর একসঙ্গে থাকার পর আবেদন করা যায়।

  • দেশে বসবাস না করলেও বিবাহিত জীবনের ৬ বছর পার হলে নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়।

  • প্রয়োজন:

    • সুইস সমাজে একীভূত হওয়ার প্রমাণ (ভাষা, সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান)

    • অপরাধমূলক রেকর্ড না থাকা

    • বৈধ দাম্পত্য সম্পর্কের প্রমাণ

No comments

Powered by Blogger.