কোথায় জামায়াতের শীর্ষ নেতারা ঈদ করছেন ?

 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের জন্য এবারের পবিত্র ঈদুল আজহা এক বিশেষ তাৎপর্য নিয়ে এসেছে।

দলটি সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে তাদের পুরোনো প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ এবং নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার সুখবর পেয়েছে। এই রাজনৈতিক অগ্রগতি দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে ঈদের আনন্দকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এবারের ঈদ তারা উদযাপন করছেন নতুন উদ্দীপনা ও আশা নিয়ে।

৫ জুন (বুধবার) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামী জানিয়েছে, দলের শীর্ষ নেতারা নিজ নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবং স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন।

দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান ঈদ পালন করবেন মৌলভীবাজার জেলার নিজ গ্রামে। নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান থাকবেন রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে। অপর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ঈদ করবেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে, আর মাওলানা শামসুল ইসলাম থাকবেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়।

সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বর্তমানে সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় অবস্থান করছেন এবং সেখানেই ঈদের নামাজ আদায় করবেন। ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ঈদ পালন করবেন কুমিল্লার লাকসামে।

সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলদের মধ্যে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান থাকবেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়, হামিদুর রহমান আযাদ থাকবেন ঢাকার বসুন্ধরায়, আর মাওলানা আবদুল হালিম থাকবেন চৌদ্দগ্রামের ভাঙ্গাপুষ্কুরুনী গ্রামে।

এ ছাড়া, অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল ঈদ করবেন বরিশালে, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের থাকবেন সিলেটে, এবং মাওলানা মো. শাহজাহান ঈদ উদযাপন করবেন চট্টগ্রাম মহানগরীতে।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের মধ্যে সাইফুল আলম খান মিলন, আবদুর রব ও মোবারক হোসাইন থাকবেন ঢাকায়। অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ ঈদ পালন করবেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়, অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিন থাকবেন বগুড়ায়, আর অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ ঈদ করবেন সৌদি আরবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল থাকবেন চাঁপাইনবাবগঞ্জে, আর উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন ঈদ উদযাপন করবেন সিলেটে।

দলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এবারের ঈদ শুধুমাত্র কোরবানির ত্যাগের প্রতীক নয়, বরং রাজনৈতিকভাবে দলটি এগিয়ে যাওয়ার নতুন এক প্রেরণাও এনে দেবে। ঈদের এই আয়োজন ও ভিন্নতা দলটির বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা ও সাংগঠনিক কাঠামোর প্রতিফলন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।