শাপলার গণহত্যার সমর্থক শাহবাগিদেরও বিচার করতে হবে
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলন এবং একই বছরের ৫ মে শাপলা চত্বরে সংগঠিত ঘটনার প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিবৃতিতে সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী দাবি করেন, ২০১৩ সালে শাহবাগের আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা ও সার্বভৌমত্বের ওপর প্রশ্ন তুলেছিল একটি গোষ্ঠী, যা পরবর্তীতে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করে দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “শাহবাগে সংগঠিত আন্দোলনে ভারতের প্রভাব থাকায় সেটি ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়। এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলাম তখন প্রতিরোধ গড়ে তোলে, যার পরিণতিতে ৫ মে শাপলা চত্বরে গণজমায়েতে অংশগ্রহণকারী অনেক মানুষ হতাহতের শিকার হন।”
আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, সেই রাতের ঘটনার প্রেক্ষিতে দেশের সচেতন ধর্মপ্রাণ জনগণ দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষুব্ধ ও বিক্ষুব্ধ ছিল। তিনি দাবি করেন, ২০২৪ সালের গণ-আন্দোলনে সেই চেতনা পুনরায় জাগ্রত হয় এবং হাজারো মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষক সেই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক নেতা ও সেক্যুলার গোষ্ঠী ইসলামপন্থী নেতাদের সম্পর্কে ‘মৌলবাদী’ শব্দ ব্যবহার করে তাদের হেয়প্রতিপন্ন করছেন, যা তিনি ‘অবাঞ্ছিত ও ভারতপন্থী রাজনৈতিক অবস্থানের প্রতিফলন’ হিসেবে আখ্যা দেন।
তিনি দেশের ছাত্র-জনতাকে “সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ” থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ইসলাম, সার্বভৌমত্ব এবং ন্যায়বিচারের প্রশ্নে হেফাজতে ইসলাম কখনও আপস করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।”
এই বিবৃতি নিয়ে ভিন্নমত ও সমালোচনার সুযোগ রয়েছে। ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলন ছিল যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সাধারণ জনগণের একটি অংশের উদ্যোগে গঠিত। অন্যদিকে, হেফাজতে ইসলামের দাবি করা শাপলা চত্বরে ‘গণহত্যা’ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময় ভিন্নমত এবং বিতর্ক হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এখনো এ নিয়ে কোনো স্বীকৃত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি।
No comments