প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে কড়া মন্তব্য করলেন মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বর্তমান সরকার মাথা থেকে পা পর্যন্ত পচে গেছে। তারা যদি আরও কিছুদিন ক্ষমতায় থাকে, তাহলে আওয়ামী লীগ যা করেছে তার চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
বুধবার (২৮ মে) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক মহাসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এই মহাসমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আয়োজনটি ছিল 'তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা' শীর্ষক কর্মসূচির অংশ, যা বিএনপির তিনটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ফরিদপুর বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সরকারকে 'ঔপনিবেশিক' আখ্যা দিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন:
“তারুণ্যের এই মহাসমাবেশ আমাদের আন্দোলিত করেছে। সরকারকে জনগণ একসময় আস্থার প্রতীক মনে করত, কিন্তু এখন তারা শুধু অবজ্ঞাই পাচ্ছে। এই সরকার আসলে একটি ঔপনিবেশিক সরকারের মতো আচরণ করছে। ৯ মাসে যে কাজ তারা পারেনি, ৯ বছরেও পারবে না, এমনকি ৯০ বছরেও না। তাদের এখন উচিত জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া।”
করিডোর ও বন্দর ইস্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন:
“করিডোর আর নিউমুরিং টার্মিনাল নিয়ে সরকার যেসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তা দেশের স্বার্থবিরোধী। স্টারলিংক আনা হচ্ছে কাদের জন্য? আরাকান আর্মির জন্য? আমরা তো স্টারলিংক ছাড়াই এতদিন চলেছি। দেশের মানুষকে বোকা ভাবা ঠিক হবে না। করিডোর হচ্ছে যেন আরাকান আর্মির মালপত্র পাঠানোর রুট।”
চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন:
“অনেকেই বিএনপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি প্রশ্ন—তারা কেন এসব চাঁদাবাজদের ধরছে না?
No comments