Header Ads

কঠোর হুঁশিয়ারি ইসরায়েলকে পশ্চিমা এক দেশ

 

কঠোর হুঁশিয়ারি ইসরায়েলকে পশ্চিমা এক দেশ


ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জার্মানি। দেশটি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, মানবিক আইন লঙ্ঘনের কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র আর ইসরায়েলে রপ্তানি করবে না বার্লিন।

মঙ্গলবার (২৭ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

রিপোর্টে বলা হয়, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী যোহান ওয়াডেফুল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য কঠোর পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যেসব অস্ত্র মানবিক আইন ভঙ্গের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে, সেগুলো আর রপ্তানি করা হবে না।” এটিই গাজা পরিস্থিতি নিয়ে জার্মান সরকারের সবচেয়ে শক্ত অবস্থান।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষে সমর্থন দিয়ে আসছিল। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে আন্তর্জাতিক মহলে ইসরায়েল আরও একঘরে হয়ে পড়ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করছে এবং ব্রিটেন, ফ্রান্স, কানাডাও গাজা ইস্যুতে কঠোর বার্তা দিচ্ছে।

জার্মান ব্রডকাস্টার WDR-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়াডেফুল বলেন, “জার্মানির ঐতিহাসিক সমর্থনকে ভুলভাবে কাজে লাগানো উচিত নয়।” তিনি গাজায় চলমান বিমান হামলা, খাদ্য ও ওষুধ সংকটকে ‘অসহনীয়’ বলে আখ্যা দেন।

এর আগে, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ ফিনল্যান্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “গাজায় হামলাগুলো এখন আর হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না, এটা বোধগম্য নয়।”

ওয়াডেফুল আরও বলেন, “আমরা ইহুদিবিরোধিতার বিরুদ্ধে লড়াই ও ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে গাজার চলমান সংঘাতের পক্ষে ব্যবহার করতে পারি না।”

তিনি বলেন, “আমরা এমন এক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছি যেখানে প্রতিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত খুব সতর্কভাবে নিতে হবে।” তবে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

No comments

Powered by Blogger.