কী সিদ্ধান্ত নিলেন, জানান জাতিকে
জাতীয় সংলাপ নিয়ে সরকারকে কঠোর ভাষায় সতর্ক করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। তিনি বলেছেন, শুধুই আলোচনার নাটক করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, তা জাতিকে জানাতে হবে। না হলে এই সংলাপ ব্যর্থ হিসেবেই ধরা হবে।
মঙ্গলবার ঢাকার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা : সংস্কার ও বাস্তবতা নিয়ে পেশাজীবীদের ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খাঁন বলেন, “১০ মাসে কী সংস্কার করা হলো? বিচার, নির্বাচন ও সংস্কারের রোডম্যাপ এখনো নেই। শুধু মিষ্টি কথা বলে চলেছেন, কিন্তু কোনো স্বচ্ছ পরিকল্পনা নেই।”
তিনি উপদেষ্টা পরিষদের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ছাড়া অন্য কারও তেমন পারফরম্যান্স দেখি না। এভাবে কোনো টিম জয়ী হতে পারে না। সংস্কারের আগে উপদেষ্টা পরিষদেই সংস্কার দরকার।”
সরকারের উদ্দেশে রাশেদ খাঁন বলেন, “আপনারা যতটুকু করতে পারবেন, ততটুকু স্বপ্ন দেখান। অতি স্বপ্ন দেখিয়ে তা পূরণ করতে না পারলে জনগণের হতাশা বাড়বে।”
পদত্যাগের গুঞ্জন নিয়েও তিনি মন্তব্য করেন। বলেন, “পদত্যাগের নাটক করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। কেউ কি প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছে? বরং জাতি তাঁকে সম্মান দিয়েছে, ভবিষ্যতেও দেবে।”
আলোচনায় দলের মিডিয়া সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, “সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে সংঘাত তৈরি করার চেষ্টা চলছে। অথচ আমরা চাই সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনে অগ্রগতি হোক। ৯ মাস কেটে গেলেও কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন চোখে পড়ছে না।”
তিনি অভিযোগ করেন, “সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ‘কিংস পার্টি’ বানানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এনসিপি নামে যাকে রাজনৈতিক দল বানাতে চাইছে, তার কোনো গঠনতন্ত্র নেই, নিবন্ধন নেই, এমনকি জেলায় জেলায় কমিটিও নেই।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি ডেন্টিস্ট জাফর মাহমুদ। সঞ্চালনায় ছিলেন অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান। আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, ড. ইমরান হোসাইন, অ্যাড. শরিফুল ইসলাম, মেহেদি হাসান, মনিরুল মাওলা, জি এম রোকোনুজ্জামান, শ্রমিক নেতা আব্দুর রহমান, ছাত্রনেতা নেওয়াজ খান বাপ্পী, আবির আহমেদ সবুজ প্রমুখ।
No comments