Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় ম্যানিটোবা প্রদেশ ভয়াবহ দাবানলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দাবানলের কারণে পুরো প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার ম্যানিটোবা থেকে ১৭ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বছরের শুরুর দাবানল মৌসুমে এবার সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ম্যানিটোবার প্রিমিয়ার ওয়াব কিনিউ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, “এই পরিস্থিতির কারণে আমরা পুরো প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছি। এটি ম্যানিটোবার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা। এমন বিপর্যয় অনেকেই জীবনে কখনও দেখেননি।”
তিনি আরও জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে যোগাযোগ করে কানাডিয়ান সামরিক বাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন। সেনা সদস্যরা দ্রুত এলাকায় পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবেন এবং মানুষদের সরিয়ে নেওয়ার কাজে যুক্ত হবেন। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় দ্রুত সামরিক বিমানের সাহায্যে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কানাডায় দাবানল আগের তুলনায় আরও ঘন ঘন এবং ভয়াবহ হয়ে উঠছে। ২০২৩ সালের দাবানল কানাডার ইতিহাসে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ছিল। এবারও পরিস্থিতি ভয়ানক রূপ নিচ্ছে।
বর্তমানে কানাডায় সক্রিয় দাবানলের সংখ্যা ১৩৪টি, যার মধ্যে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, আলবার্টা, সাসকাচুয়ান, ম্যানিটোবা এবং অন্টারিও প্রদেশে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক দাবানল এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
ম্যানিটোবার ফ্লিন ফ্লনের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত শেরিডন এলাকার একটি মৎস্য লজের মালিক শেরিল ম্যাথেসন বলেন, “দাবানল আমাদের ছোট্ট শহরটিকে ঘিরে ফেলেছে। ধোঁয়ার কারণে পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। চার-পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকেও আগুন দেখা যাচ্ছে, এবং তা দ্রুত এগিয়ে আসছে। এটা একেবারেই সহ্য করার মতো নয়।”
পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য সরকারি ও সামরিক বাহিনী একযোগে কাজ করছে। তবে এই ধরনের দাবানল থেকে রক্ষা পেতে দীর্ঘমেয়াদী জলবায়ু উদ্যোগ এবং প্রস্তুতি এখন সময়ের দাবি।
No comments