ফিলিস্তিনের আরও জমি দখল করল ইসরায়েল

 

ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে আরও কিছু ফিলিস্তিনি এলাকা দখল করে নতুন অবৈধ বসতি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল সরকার পশ্চিম তীরে ২২টি নতুন অবৈধ বসতি গঠনের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে কিছু বসতি আগে থেকেই নির্মিত ‘আউটপোস্ট’, যেগুলো সরকারি অনুমোদন ছাড়াই গড়ে তোলা হয়েছিল। এখন সেগুলোকেও বৈধতা দিতে চায় ইসরায়েল।

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এই নতুন বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। মন্ত্রী কাটজ বলেন, “এই পদক্ষেপ জুডিয়া ও সামারিয়ায় আমাদের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করবে।”

ইসরায়েল এর আগেও পশ্চিম তীরে ১০০টিরও বেশি অবৈধ বসতি স্থাপন করেছে। এসব বসতিতে প্রায় পাঁচ লাখ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী বসবাস করছে। এসব বসতি কখনো ছোট ছোট আউটপোস্ট, আবার কখনো আধুনিক সুবিধা-সংবলিত বড় বড় এলাকা।

পশ্চিম তীরে প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করে, যারা প্রতিদিন ইসরায়েলি সামরিক শাসনের মধ্যে দিয়ে জীবনের নানা কষ্টের মুখোমুখি হয়। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ শুধু কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমিত প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে পারে।

ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজা উপত্যকাকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে দেখে। কিন্তু ইসরায়েলের ক্রমাগত দখলদারি ও বসতি সম্প্রসারণ সে স্বপ্নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।