রিশাদ হোসেনকে নিলেই ট্রফি – পরিসংখ্যানেই প্রমাণ!

 

আপনি যদি টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে চ্যাম্পিয়ন হতে চান, তাহলে দলে নিন রিশাদ হোসেনকে—কারণ তাঁর নামের সঙ্গেই যেন জড়িয়ে গেছে ট্রফির গন্ধ!

মাত্র দুই বছরের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে রিশাদ ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছেন এক বিস্ময়কর রেকর্ড। গত এক বছরে তিনি যেসব দলের অংশ ছিলেন, সবগুলোই শেষ পর্যন্ত জিতেছে শিরোপা! খেলুক বা না খেলুক, দলে তাঁর থাকা মানেই যেন সৌভাগ্যের বার্তা।

সবশেষ উদাহরণ – লাহোর কালান্দার্সের ঐতিহাসিক জয়
গতকাল পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনালে লাহোর কালান্দার্স ২০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে হারিয়ে জিতেছে ট্রফি। এই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন বাংলাদেশের লেগ-স্পিনিং অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন। পুরো টুর্নামেন্টেই তিনি ছিলেন দুর্দান্ত ছন্দে।

দলে আরও ছিলেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ, যদিও তাঁরা ফাইনালের একাদশে ছিলেন না।

‘অদৃশ্য প্রভাব’ ফেলছেন রিশাদ, পরিসংখ্যানই সাক্ষী:

• কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে: রিশাদকে নিয়েছিল টরন্টো ন্যাশনালস। ভিসা জটিলতায় খেলতে পারেননি, তবুও ট্রফি জিতেছে তাঁর দল।

• অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে: হোবার্ট হারিকেন্স তাঁকে কিনেছিল, খেলেননি—তবুও এবারই প্রথমবার তারা হয়েছে চ্যাম্পিয়ন।

• গ্লোবাল সুপার লিগে (GSL): রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন। প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর টানা জয়ে শিরোপা ঘরে তোলে দলটি।

• বিপিএল ২০২৫: ফরচুন বরিশালের হয়ে কয়েক মাস আগেই জিতেছেন আরেকটি ট্রফি।

এই পরিসংখ্যানগুলো মজার হলেও নিছক কাকতালীয় নয়। ক্রমেই রিশাদ হয়ে উঠছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছে 'লাকি চার্ম'।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের লেগ-স্পিন সংকটে এক আলোচিত নাম
বাংলাদেশের ক্রিকেটে মানসম্পন্ন লেগ-স্পিনারের অভাব ছিল দীর্ঘদিন। সেই অভাব পূরণের আশার নাম এখন রিশাদ হোসেন। নিজের পারফরম্যান্সে যেমন নজর কাড়ছেন, তেমনি তাঁর উপস্থিতিই হয়ে উঠছে দলের জন্য সৌভাগ্যের প্রতীক।

সাকিবের সপ্তম ফ্র্যাঞ্চাইজি ট্রফি, কিন্তু আলোচনায় রিশাদই
লাহোর কালান্দার্সের হয়ে সাকিব আল হাসান নিজের সপ্তম টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি শিরোপা জিতলেন—এই ট্রফিগুলো এসেছে ছয়টি ভিন্ন দলের হয়ে। তবে আলোচনার কেন্দ্রে এখন নিঃসন্দেহে রিশাদ। কারণ তাঁর নামেই যেন ট্রফির ঘণ্টাধ্বনি বাজে।

শেষ কথা:
রিশাদ হোসেনকে দলে নেওয়া যেন এখন এক প্রমাণিত ফর্মুলা—ট্রফির পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। হয়তো ২০২৬ সালে কোনো দল এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তাঁকে স্কোয়াডে নেবে, আর ভবিষ্যতে ইতিহাস বলবে—তারা একদম ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিল।

স্মরণে রাখুন—"রিশাদকে নিলেই ট্রফি নিশ্চিত!"