Header Ads

বাংলাদেশের পাওনা আদায়ে আশাবাদী আদানি পাওয়ার



বাংলাদেশের পাওনা আদায়ে আশাবাদী আদানি পাওয়ার


 ভারতের অন্যতম বড় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিদ্যুৎ রপ্তানির পুরোটাই অর্থ আদায় নিয়ে আশাবাদা প্রকাশ করেছে। কোম্পানির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (CFO) দিলিপ ঝা এক সাক্ষাৎকারে জানান, বাংলাদেশ তাদের বকেয়া অনেকটাই কমিয়েছে এবং বাকি প্রায় ৯০ কোটি ডলার পাওনার ব্যাপারেও তারা আত্মবিশ্বাসী।

রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে প্রায় ১২০ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে, যা মোট পাওনা প্রায় ২০০ কোটি ডলারের একটি বড় অংশ। চলতি মাসের বিল ছাড়াও পুরনো বকেয়া আদায়ের আশা করছে আদানি। ঝা বলেন, “এখন আমরা যে অর্থ পাচ্ছি, তা কেবল মাসিক বিল নয়—এর সঙ্গে কিছু বকেয়াও পরিশোধ হচ্ছে।”

বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেয় আদানি

২০১৭ সালে আদানি পাওয়ার ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ঝাড়খণ্ডে আদানির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় বাংলাদেশে। তবে বকেয়া অর্থ না পেয়ে গত বছরের অক্টোবরের শেষে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দেয় আদানি। ১ নভেম্বর একটি ইউনিট বন্ধ করায় উৎপাদন কমে দাঁড়ায় ৪২ শতাংশে।

গ্রীষ্ম শুরু হওয়ার আগেই পুরো সরবরাহ চালু

পরে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) গ্রীষ্মকালে চাহিদা বাড়ার কারণে আদানিকে আবারও পুরো ১৬০০ মেগাওয়াট সরবরাহ চালু করতে অনুরোধ জানায়। আদানি সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে পূর্ণক্ষমতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে।

কর সুবিধা ও বিদ্যুৎমূল্য নিয়ে দ্বন্দ্ব

২০১৯ সালে ভারতের সরকার ঝাড়খণ্ডের আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দেয়, যার ফলে কোম্পানিটি কর ছাড়সহ বিভিন্ন শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে। বাংলাদেশ পিডিবি চেয়েছিল, আদানির এই কর সুবিধার প্রভাব বিদ্যুতের দামে পড়ুক এবং দাম কমুক। কিন্তু আদানি এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে।

পিডিবি আরও চেয়েছিল, আগের মতো বিদ্যুৎমূল্যে কিছু ছাড় অব্যাহত থাকুক। আদানি তা ২০২3 সালের মে মাস পর্যন্ত দিয়েছিল, যার ফলে বাংলাদেশের প্রায় ১.৩ কোটি ডলার সাশ্রয় হয়। কিন্তু এরপর সেই ছাড়ও বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

পাওনার অঙ্ক নিয়েও ভিন্নমত

গত ডিসেম্বরে আদানি দাবি করে, বাংলাদেশের কাছে তাদের পাওনা প্রায় ৯০ কোটি ডলার। অন্যদিকে পিডিবি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানান, প্রকৃত বকেয়া প্রায় ৬৫ কোটি ডলার। এই অমিলের কারণ বিদ্যুতের শুল্ক গণনায় ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি।

সার্বিকভাবে, আদানি পাওয়ার এখন বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত অর্থ পাচ্ছে এবং তারা আশাবাদী যে পুরো পাওনাই আদায় হবে। তবে বিদ্যুৎমূল্য ও ছাড় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখনও রয়ে গেছে।

আপনি কি চান এই প্রতিবেদনটি একটি ব্লগ আর্টিকেলের মতো সাজিয়ে দিই?

No comments

Powered by Blogger.