চারুকলায় নববর্ষের মোটিফে আগুন: সিসিটিভিতে ধরা পড়ল এক তরুণের কাণ্ড
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক তরুণকে সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত করা হয়েছে।
সিসিটিভি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে কালো টি-শার্ট, ব্রাউন প্যান্ট ও কালো স্যান্ডেল পরিহিত এক তরুণ পেছনে চুলে ঝুঁটি বাঁধা অবস্থায় চারুকলার মাঝখানের ৩ নম্বর গেট টপকে ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি আগুন লাগিয়ে সেই পথ দিয়েই ছবির হাটের দিকে পালিয়ে যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তরুণটি প্রথমে দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে দেন এবং পর্দার আড়ালে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি একটি সুপরিকল্পিত হামলা। তাঁর মতে, ‘ফ্যাসিবাদের পক্ষের কোনো শক্তি’ এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, “ঘটনার পেছনে যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনার তদন্তে ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, আইসিটি সেলের পরিচালক ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল তুষার, চারুকলার সহকারী প্রক্টর মো. ইসরাফিল এবং বিজ্ঞান অনুষদের সহকারী প্রক্টর ড. এ কে এম নূর আলম সিদ্দিকী।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার ভোর ৫টা ৪ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর, পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ৫টা ২২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে নববর্ষের শোভাযাত্রার জন্য তৈরি দুটি মোটিফ আংশিকভাবে পুড়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং চারুকলা অনুষদ এই ঘটনা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে নিয়েছে। তদন্ত চলছে, এবং অপরাধীর নাম-পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
No comments