২১ মিনিটে ৫ গোলের রোমাঞ্চ, অতিরিক্ত সময়ে ফাইনালে রেয়াল মাদ্রিদ
রেয়াল মাদ্রিদের আরেকটি অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন! সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে উত্তেজনায় ঠাসা সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে রেয়াল মাদ্রিদ ও রেয়াল সোসিয়েদাদ ৪-৪ গোলে ড্র করেছে। তবে প্রথম লেগে ১-০ ব্যবধানে জয় পাওয়ায় ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
গোলের বন্যায় রোমাঞ্চকর ম্যাচ
৭১ মিনিট পর্যন্ত স্কোরলাইন সমতায় ছিল, এরপরই ডাভিড আলাবার আত্মঘাতী গোলের মাধ্যমে বদলে যায় ম্যাচের গতি। মাত্র ২১ মিনিটে পাঁচটি গোল হয়, যেখানে কখনও সোসিয়েদাদ এগিয়ে যায়, আবার কখনও রেয়াল মাদ্রিদ সমতা ফেরায়। তবে ১১৫তম মিনিটে আন্টোনিও রুডিগারের হেডে করা গোলে ফাইনালের পথ নিশ্চিত হয় স্প্যানিশ জায়ান্টদের জন্য।
গোলদাতারা ও ম্যাচের পরিসংখ্যান
রেয়াল মাদ্রিদের পক্ষে গোল করেন এন্দ্রিক, জুড বেলিংহ্যাম, অঁহেলিয়া চুয়ামেনি ও রুডিগার। অন্যদিকে, সোসিয়েদাদের হয়ে দুই গোল করেন মিকেল ওইয়ারসাবাল এবং একটি করে গোল করেন আন্দের বারেনেচিয়া ও আলাবা (আত্মঘাতী)।
রেয়াল মাদ্রিদ পুরো ম্যাচে বল দখলে ও আক্রমণে আধিপত্য করলেও, প্রতিপক্ষের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ম্যাচকে রোমাঞ্চকর করে তোলে। রেয়াল ২৬টি শট নেয়, যার ১০টি লক্ষ্যে ছিল, অন্যদিকে সোসিয়েদাদ ১১টি শটের মধ্যে পাঁচটি লক্ষ্যে রাখে এবং চারটি গোল করে।
ম্যাচের প্রধান মুহূর্ত
১. বারেনেচিয়ার গোল (১৬ মিনিট) – প্রথম শটেই রেয়াল মাদ্রিদকে স্তব্ধ করে দেয় সোসিয়েদাদ। 2. এন্দ্রিকের জবাব (৩০ মিনিট) – দুর্দান্ত চিপ শটে গোল করে সমতা ফেরান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। 3. আত্মঘাতী গোল (৭১ মিনিট) – মারিনের শট ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে বল পাঠান আলাবা। 4. ওইয়ারসাবালের গোল (৮০ মিনিট) – ডিফ্লেকশনে গোল করে সোসিয়েদাদকে এগিয়ে দেন তিনি। 5. দ্রুত দুটি গোল (৮২ ও ৮৫ মিনিট) – বেলিংহ্যাম ও চুয়ামেনির গোলে ম্যাচে ফেরে রেয়াল। 6. ওইয়ারসাবালের দ্বিতীয় গোল (৯৩ মিনিট) – দুর্দান্ত হেডে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যান তিনি। 7. রুডিগারের হেড (১১৫ মিনিট) – কর্নার থেকে হেড করে রেয়াল মাদ্রিদকে ফাইনালে তোলেন জার্মান ডিফেন্ডার।
ফাইনালের অপেক্ষা
এখন রেয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ নির্ধারিত হবে বার্সেলোনা ও আতলেতিকো মাদ্রিদের মধ্যকার সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচে। প্রথম লেগে তাদের স্কোরলাইনও ছিল ৪-৪, তাই উত্তেজনা থাকছে চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত।
No comments