ঈদের নামাজের নিয়ম ও বিধান
ঈদের নামাজ যেকোনো খোলা জায়গা, মসজিদ বা ঈদগাহে আদায় করা যায়, তবে অবশ্যই তা জামাতের সঙ্গে পড়তে হবে। জুমার নামাজের জন্য যেসব শর্ত প্রযোজ্য, ঈদের নামাজের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। তাই একা ঈদের নামাজ আদায় করা জায়েজ নয়।
ঈদের নামাজের বৈশিষ্ট্য
-
ঈদের নামাজের জন্য আজান বা ইকামত দেওয়া হয় না।
-
জুমার নামাজের মতো উচ্চ আওয়াজে কোরআন তিলাওয়াত করা হয়।
-
নামাজে ছয়টি অতিরিক্ত তাকবির দেওয়া হয়।
ঈদের নামাজের কাঠামো
নিয়ত
"আমি দুই রাকাত ওয়াজিব ঈদের নামাজ অতিরিক্ত ছয় তাকবিরসহ এই ইমামের পেছনে কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য আদায় করছি... আল্লাহু আকবার।"
প্রথম রাকাতের নিয়ম
-
তাকবিরে তাহরিমা দিয়ে হাত বাঁধা।
-
সানা (সুবহানাকা আল্লাহুম্মা…) পড়া।
-
অতিরিক্ত তিনটি তাকবির দেওয়া (প্রতিটি তাকবিরের মাঝে বিরতি রাখা)।
-
প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবিরে হাত উঠিয়ে ছেড়ে দেওয়া, তৃতীয় তাকবিরে হাত বেঁধে নেওয়া।
-
আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়া।
-
সুরা ফাতিহা ও অন্য কোনো সুরা পড়া।
-
স্বাভাবিক নিয়মে রুকু ও সিজদা আদায় করা।
দ্বিতীয় রাকাতের নিয়ম
-
বিসমিল্লাহ, সুরা ফাতিহা ও অন্য কোনো সুরা পড়া।
-
অতিরিক্ত তিন তাকবির দেওয়া (প্রথম দুই তাকবিরে হাত উঠিয়ে ছেড়ে দেওয়া, তৃতীয় তাকবিরে হাত বেঁধে না নিয়ে রুকুতে যাওয়া)।
-
স্বাভাবিক নিয়মে রুকু ও সিজদা আদায় করা।
-
তাশাহহুদ, দরুদ ও দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা।
খুতবা
নামাজের পর ইমাম খুতবা প্রদান করবেন, যা মনোযোগ দিয়ে শোনা আবশ্যক। ঈদের নামাজের অতিরিক্ত তাকবিরে ভুল হলে সাহু সিজদার প্রয়োজন নেই।
এভাবেই ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা হয়।
No comments