এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা অনুমোদনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদুল ফিতরের উৎসব ভাতা ও বেতনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, এই প্রস্তাবে স্কুলের ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ জন এবং কলেজের ৮৪ হাজার ২৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীর উৎসব ভাতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এর আগে, শিক্ষক-কর্মচারীদের ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির বেতন এবং উৎসব ভাতা দ্রুত পরিশোধের চেষ্টা করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট দপ্তর শুক্র ও শনিবারও কাজ চালিয়ে গেছে যাতে মার্চ মাসের বেতন ঈদের আগেই পরিশোধ করা যায়।
জানা গেছে, জানুয়ারির প্রথম ধাপের এমপিও ছাড়ের মেসেজ ৫ মার্চ শিক্ষকদের কাছে পৌঁছায়। ২৫ ফেব্রুয়ারি, মোট ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭৬১ জন শিক্ষক-কর্মচারীর জানুয়ারি মাসের এমপিও অনুমোদিত হয়, যার মধ্যে ২ লাখ ৬৮ হাজার ২৩৪ জন স্কুল এবং ৮০ হাজার ৫২৭ জন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ছিলেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরভাতা তহবিল ও কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিলে যথাক্রমে ৪৮০ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং ৩২০ কোটি ২০ লাখ টাকা কেটে ইএফটির মাধ্যমে ছাড় করা হয়েছে। এছাড়া, বেতন ও ভাতাদির সরকারি অংশ বাবদ ৮৪৩ কোটি টাকা ইএফটির মাধ্যমে মঞ্জুর করা হয়েছে।
এর আগে, তৃতীয় ধাপে ৮৪ হাজার ৭৭৬ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
প্রসঙ্গত, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা আগে বেতন-ভাতা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতেন এবং ব্যাংকের মাধ্যমে ভোগান্তির শিকার হতেন। এই সমস্যা সমাধানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ঘোষণা দেয় যে, বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ইএফটির মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।
অক্টোবর মাসে পরীক্ষামূলকভাবে ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন ইএফটির মাধ্যমে প্রদান করা হয়। এরপর, ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার এবং দ্বিতীয় ধাপে আরও ৬৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন ইএফটির মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়।
বর্তমানে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দ্রুত ও সহজভাবে পরিশোধের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশি একযোগে কাজ করছে।
No comments