ছেত্রি বনাম হামজা: দুই প্রজন্মের দ্বৈরথ
ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি সুনিল ছেত্রি এবং বাংলাদেশের নতুন তারকা হামজা চৌধুরী এখন আলোচনার কেন্দ্রে। বয়স, অভিজ্ঞতা এবং ক্যারিয়ারে বিশাল পার্থক্য থাকলেও, শিলংয়ে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে তাদের লড়াই ফুটবলপ্রেমীদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ তৈরি করেছে।
অভিজ্ঞতা বনাম সম্ভাবনা
সুনিল ছেত্রি যখন ভারতের জাতীয় দলে অভিষেক করেন, তখন হামজার বয়স ছিল মাত্র ৮ বছর। ভারতের হয়ে ১৫২ ম্যাচে ৯৫ গোল করে বিশ্বে চতুর্থ সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলদাতাদের তালিকায় আছেন ছেত্রি। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডে বেড়ে ওঠা এবং লেস্টার সিটির হয়ে খেলা হামজা বাংলাদেশের জাতীয় দলে অভিষেকের অপেক্ষায়।
দুই তারকার পথচলা
সুনিল ছেত্রি ভারতীয় ফুটবলে দীর্ঘ ২৩ বছরের ক্যারিয়ার গড়েছেন। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, বেঙ্গালুরু এফসি-সহ ভারতের সেরা ক্লাবগুলোর হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
অন্যদিকে, হামজা চৌধুরী ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়ন লেস্টার সিটির একাডেমি থেকে উঠে এসেছেন। লেস্টারের হয়ে ৯১ ম্যাচ খেলার পাশাপাশি ওয়াটফোর্ডসহ অন্যান্য ক্লাবেও খেলেছেন। বর্তমানে তিনি ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে খেলছেন।
বড় ম্যাচের মঞ্চ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের আগে ভারত মালদ্বীপের বিপক্ষে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ৩-০ গোলের জয় পেয়েছে, যেখানে একটি গোল করেছেন ছেত্রি। অন্যদিকে, হামজা এই ম্যাচের জন্য ১৭ মার্চ বাংলাদেশে এসেছেন, প্রস্তুতি নিয়েছেন অভিষেকের জন্য।
কার পাল্লা ভারী?
অভিজ্ঞতা ও জাতীয় দলের সাফল্যের দিক থেকে সুনিল ছেত্রি অনেক এগিয়ে থাকলেও, ইউরোপিয়ান ফুটবলের মাপদণ্ডে হামজার অবস্থান আরও উঁচুতে। ইংল্যান্ডের ফুটবলের কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্যে বেড়ে ওঠা এই মিডফিল্ডারের স্কিল, শারীরিক শক্তি ও কৌশল তাকে এগিয়ে রাখে। তার বাজারমূল্যও পুরো ভারতীয় দলের সমান বলে মনে করা হয়।
এই দুই তারকার দ্বৈরথ ফুটবলের মাঠে কেমন রূপ নেয়, সেটাই দেখার অপেক্ষায় দুই দেশের ফুটবলপ্রেমীরা
No comments