নারীদের নিরাপত্তাহীনতায় উদ্বেগ: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশে নারীরা এখনো বৈষম্য, সহিংসতা ও শোষণের শিকার হচ্ছেন। অনেক দেশে নারীদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলেও, দেশে তাদের নিরাপত্তাহীনতার মাত্রা বেড়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ বিএনপির নারী নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে বিএনপি নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন এবং নির্যাতন থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেবে। নারীবান্ধব সমাজ গড়ে তোলার মাধ্যমে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সমান অধিকার, সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কথা বললেও বাস্তবতা হতাশাজনক। সাম্প্রতিক সময়ে নারীদের প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য বেড়েছে, যা উদ্বেগজনক। নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য এবং সহিংসতা ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে, যা জাতির জন্য হুমকিস্বরূপ।
রিজভী অভিযোগ করেন, নারীরা দৈনন্দিন জীবনে যেমন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, অনলাইনেও তাদের ওপর বিরূপ আচরণ করা হচ্ছে। রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে ইভটিজিং, শ্লীলতাহানি ও হেনস্তার শিকার হচ্ছেন তারা। ধর্ষণ ও সহিংসতার ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে, যা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নারীদের নিরাপত্তাহীনতার পেছনে কোনো উগ্র গোষ্ঠীর উসকানি বা মদদ থাকতে পারে, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য হতে পারে দেশকে অতিরক্ষণশীল রাষ্ট্রে পরিণত করা, যেখানে নারীরা অধিকারবঞ্চিত হয়ে পড়বেন।
তবে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও দেশের নারীরা সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রিজভী। তিনি বলেন, নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য বিএনপি সর্বদা পাশে থাকবে এবং নারীদের মর্যাদা, নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
No comments